ভেনিজুয়েলার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুতাপূর্ণ পদক্ষেপের প্রতি ইসরাইলের সমর্থনের কারণ নিয়ে একটি মিডিয়ায় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম প্যালেস্টাইন ক্রনিকল ভেনিজুয়েলার বিরুদ্ধে সামরিক আক্রমণের মার্কিন পরিকল্পনার প্রতি ইসরাইলের সমর্থনের কারণ নিয়ে ওই প্রতিবেদনে লিখেছে, তেল আবিব চায় আমেরিকার সৈন্যদের জীবন বিপন্ন করে হলেও এই পদক্ষেপ নেয়া হোক।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইলকে সমর্থনকারী গবেষণা কেন্দ্রগুলো ভেনিজুয়েলার তেল লুণ্ঠন করার সমর্থনে নিবন্ধ প্রকাশ করে যাচ্ছে। ভেনিজুয়েলার বিরুদ্ধে মার্কিন হামলার ওপর ওই গবেষণা কেন্দ্রগুলোর সদস্যের জেদ কেবল ভেনিজুয়েলার বিরোধী দল এবং ইসরাইলি স্বার্থের মধ্যে সংযোগের ওপরই নির্ভর করে না। বরং পশ্চিম এশিয়ার বাইরে তেল আবিবের প্রভাব বিস্তারের আধিপত্যবাদী চিন্তা বাস্তবায়নের জন্য এই পদক্ষেপ নেয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সবকিছুই ইরাকের ওপর আক্রমণের প্রস্তুতি নেয়ার সময়কার মতো। ইসরাইল ইরাকের ওপর মার্কিন আক্রমণের একজন প্রধান সমর্থক ছিল। কিন্তু একইসাথে ইহুদিবাদী সরকার ওই আক্রমণে সামরিকভাবে অংশগ্রহণ করেনি। ট্রাম্প-সমর্থক বিশ্লেষকরা ভেনিজুয়েলার তেল সম্পদ লুণ্ঠনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অত্যন্ত উৎসাহের সাথে কথা বলছেন, যেমনটি ইরাকে হয়েছিল।
ভেনিজুয়েলার সরকারকে তথাকথিত ‘সন্ত্রাসী’ সরকার হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে, ইরাকের মতো এই দেশেও আক্রমণের প্রেক্ষাপট তৈরির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টালাইন সঙ্কটের সাথে সম্পর্কিত এই দেশটির বিরুদ্ধে অযৌক্তিক অভিযোগ আনা হচ্ছে। ইসরাইলের সমর্থকরা এতদূর পর্যন্ত বলেছে, মাদুরো সরকার হিজবুল্লাহ এবং হামাসের সাথে জোটবদ্ধ। সেইসাথে তারা দাবি করেছে যে তারা আমেরিকার মাটিতে আক্রমণ চালাতে চায়।
এছাড়া বেশ কয়েকটি আরব ও ইসলামী দেশকে আকৃষ্ট করার মার্কিন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য নেতানিয়াহু লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন। যদিও লাতিন আমেরিকায় বিভিন্ন আন্দোলন দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনিদের স্বার্থকে সমর্থন করে আসছে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে তেল আবিবের জন্য ভেনিজুয়েলা সরকারের উৎখাত গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্র : পার্সটুডে



