সুদানে গণহত্যা চালাচ্ছে দেশটির আধা সামরিক মিলিশিয়া বাহিনী। এর প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামী ব্যক্তিত্ব শায়খ আহমাদুল্লাহ।
ভেরিফায়েড ফেসবুকের এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক সঙ্কটে পড়েছে আফ্রিকার দেশ সুদান। গত তিন দিনে অন্তত দেড় হাজার মানুষকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এর মধ্যে হাসপাতালের প্রায় পাঁচশ রোগী এবং তাদের স্বজনও রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘শুধু তাই নয়, ২০২৩ সালে শুরু হওয়া সঙ্ঘাতে এখন পর্যন্ত দেড় লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে। এছাড়া সন্ত্রাসীদের ভয়ে দেশটির প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।’
পোস্টে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এই ইসলামিক স্কলার। তিনি বলেন, দরিদ্র দেশটিতে এতবড় মানবিক বিপর্যয় চলছে। অথচ বিপর্যয়ের তুলনায় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কার্যকর কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি।
তিনি আরো বলেন, আফ্রিকায় শান্তিরক্ষা মিশনের উদ্দেশ্য নিয়ে সচেতন মানুষের মনে নানামুখী প্রশ্ন রয়েছে। সেই প্রশ্নই কি তবে সত্য? শান্তিরক্ষার নামে আফ্রিকায় তাদের কাজ কি তবে শুধুই নিজেদের আখের গোছানো? শান্তিরক্ষা নামের সার্থকতা রক্ষার্থেও কি তারা সুদানের সহিংসতা বন্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেবে না?
প্রশ্ন রেখে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, এই একই ঘটনা উন্নত কোনো দেশে সঙ্ঘটিত হলে পৃথিবীজুড়ে যে তোলপাড় শুরু হতো এবং যে পরিমাণ মিডিয়া কাভারেজ পেতো, তার সিকিভাগ মনোযোগও কি পাচ্ছে সুদান? গরিব এবং মুসলমান বলেই কি কথিত সভ্যদের কাছে তাদের জীবনের কোনো দাম নেই?
 


