মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যদি সত্যিই চুক্তি করতে আগ্রহী না হন, তাহলে তার সাথে আর কোনো বৈঠক করব না।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) এশিয়া সফরে যাওয়ার পথে প্রেসিডেন্টের বিশেষ বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় তিনি এ মন্তব্য করেছেন।
ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে নিশ্চিত হতে হবে যে আমরা চুক্তিটি করতে যাচ্ছি। না হলে অযথা সময় নষ্ট করব না।’
তিনি আরো বলেন, ‘পুতিনের সাথে আমার সবসময় ভালো সম্পর্ক ছিল, কিন্তু এবারের অভিজ্ঞতা হতাশাজনক। ভেবেছিলাম, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার আগেই এটা (ইউক্রেন ইস্যু) সমাধান হয়ে যাবে।’
বার্তাসংস্থা এএফপি জানায়, গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার দুটি বৃহত্তম তেল কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ট্রাম্পের অভিযোগ, ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে পুতিনেরর সাথে তার আলোচনা ফলপ্রসূ হচ্ছে না।
যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েক মাস ধরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ থেকে বিরত ছিল। কিন্তু বুদাপেস্টে পুতিনের সাথে প্রস্তাবিত শীর্ষ বৈঠক বাতিল হওয়ায় ট্রাম্পের ধৈর্যচ্যুতি ঘটে।
তবে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট আশা প্রকাশ করেন, রোসনেফট ও লুকঅয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দীর্ঘস্থায়ী হবে না এবং ‘যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটবে’।
এদিকে, নিষেধাজ্ঞাগুলোকে ‘গুরুতর’ বলে স্বীকার করলেও এতে রাশিয়ার অর্থনীতিতে বড় কোনো প্রভাব পড়বে না বলে দাবী করেন পুতিন।
তিনি আরো বলেন, এসব ‘অবন্ধুসুলভ আচরণ’ রুশ-মার্কিন সম্পর্ক শক্তিশালী তো করবেই না, বরং পুনরুদ্ধারের পথে বাধা সৃষ্টি করবে। তবে ট্রাম্পের সাথে আলোচনায় আগ্রহী বলে জানান রুশ নেতা।
অন্যদিকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে ‘শক্তিশালী ও অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বার্তা’ হিসেবে বর্ণনা করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি আরো বলেন, এটিই স্পষ্ট ইঙ্গিত যে ‘আগ্রাসনের জবাব অবশ্যই দেয়া হবে’।
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তাল মিলিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নও রাশিয়ার তেল ও গ্যাস খাতের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
সূত্র : বাসস



