মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যদি ন্যাটো দেশগুলো রুশ তেল কেনা ব্ন্ধসহ আরো বেশকিছু শর্ত পূরণ করে, তাহলে তিনি রাশিয়ার ওপর আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন। তিনি চীনের ওপরও ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক বসানোর প্রস্তাব দিয়েছেন।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ট্রাম্প তার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক বার্তায় বলেছেন, ন্যাটো দেশগুলো ‘একই কাজ করতে সম্মত হলে এবং তা কার্যকর করলে’ তিনি ‘রাশিয়ার ওপর বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে প্রস্তুত’।
এর আগে, একাধিকবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দেন ট্রাম্প। কিন্তু মস্কো সেই সময়সীমা ও হুমকি উপেক্ষা করলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। তিনি ন্যাটো দেশগুলোকে পরামর্শ দেন, যেন তারা চীনের ওপর ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এতে রাশিয়ার ওপর চীনের ‘শক্তশালী নিয়ন্ত্রণ’ দুর্বল হবে।
ন্যাটো দেশগুলোর উদ্দেশে লেখা এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘আমি প্রস্তুত। আপনারা যখন বলবেন, তখনই শুরু করব।’
তিনি আরো বলেন, ‘কিছু দেশের রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করা অত্যন্ত হতাশাজনক। এতে রাশিয়ার সাথে আপনাদের দর-কষাকষির অবস্থান দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরো দাবি করেন, রাশিয়ার জ্বালানি কেনা বন্ধ করা এবং চীনের ওপর ভারী শুল্ক আরোপ করা, সংঘাত অবসানে ‘বড় সহায়তা’ দেবে। চীনের ওপর শুল্ক যুদ্ধের পরে ‘সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার’ করা হবে বলেও জানান তিনি।
ইউক্রেনে মস্কোর পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়ার জ্বালানির ওপর ইউরোপের নির্ভরতা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে। ২০২২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়া থেকে প্রায় ৪৫ শতাংশ গ্যাস আমদানি করত। এ বছর সেই হার নেমে আসবে প্রায় ১৩ শতাংশে। তবে ট্রাম্পের মন্তব্যে বোঝা যাচ্ছে, তিনি এই মাত্রাকেও যথেষ্ট মনে করছেন না।
সূত্র : বিবিসি