চীনের আধিপত্য মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার বিরল খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর

চীন বর্তমানে প্রায় ৭০ শতাংশ বিরল খনিজ আহরণ এবং ৯০ শতাংশ প্রক্রিয়াজাতকরণ নিয়ন্ত্রণ করে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প |সংগৃহীত

বিরল খনিজ বাজারে চীনের আধিপত্য মোকাবেলার উপায় খুঁজছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এর অংশ হিসেবে সোমবার (২০ অক্টোবর) বিরল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ সরবরাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেছেন, এই চুক্তির আওতায় প্রায় ৮.৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হবে। আর এটি অস্ট্রেলিয়ার খনি ও প্রক্রিয়াজাতকরণ সক্ষমতা বাড়াবে।

চুক্তির প্রাথমিক কাঠামো অনুযায়ী, আগামী ছয় মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া নতুন প্রকল্পে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে আসছে।

তবে আলবানিজ বলছেন, সর্বশেষ চুক্তিটি দুই দেশের অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সাথে অস্ট্রেলিয়ার বহু বিলিয়ন ডলারের সাবমেরিন চুক্তি নিয়ে মন্তব্য করে বলেছেন, এটি পুরোদমে এগিয়ে চলেছে। চুক্তিটি অকাস নামে পরিচিত।

চীন বর্তমানে প্রায় ৭০ শতাংশ বিরল খনিজ আহরণ এবং ৯০ শতাংশ প্রক্রিয়াজাতকরণ নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম থেকে শুরু করে কম্পিউটার চিপ ও গাড়ি- সব ক্ষেত্রেই বিরল খনিজ গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়।

মার্কিন কোম্পানিগুলো বিরল খনিজের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। কিন্তু চীন নতুন মার্কিন শুল্কনীতি ও দুই দেশের বাণিজ্যিক টানাপোড়েনের প্রতিক্রিয়ায় বিরল খনিজ সরবরাহ সীমিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে মার্কিন কোম্পানিগুলো ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

আলবানিজ বলেন, এই চুক্তির লক্ষ্য তিন ধরনের প্রকল্পে বিনিয়োগ দ্রুত করা। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রগুলোতে মার্কিন বিনিয়োগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

সূত্র : বিবিসি