মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেন চাইলে রাশিয়া থেকে তার মূল ভূখণ্ড ফিরে পেতে পারে। তার এই মন্তব্য রাশিয়ার সাথে যুদ্ধের বিষয়ে তার অবস্থানে একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে ট্রাম্প ভাষণ দেয়ার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে বৈঠক করেছেন। এরপরই তিনি এ মন্তব্য করেছেন।
ট্রাম্প তার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল এক বার্তায় বলেছেন, ইউরোপ ও ন্যাটোর সহায়তায় ইউক্রেন ‘যুদ্ধ শুরুর সময়ে তাদের মূল সীমানা’ ফিরে পেতে পারে। কারণ রাশিয়ার অর্থনীতি চাপের মধ্যে রয়েছে।
ট্রাম্প বারবার যুদ্ধ শেষ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এর আগে, তিনি সতর্ক করে বলেছিলেন, এই প্রক্রিয়ায় সম্ভবত ইউক্রেনকে কিছু ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হবে। তবে জেলেনস্কি এই প্রস্তাব বরাবর প্রত্যাখ্যান করে এসেছেন।
ট্রাম্প আরো বলেছেন, ইউক্রেন ‘হয়তো এর চেয়েও বেশি কিছু পেতে পারে’। তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। তিনি ক্রিমিয়ার কথাও উল্লেখ করেননি। রাশিয়া ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল করে, আর ২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার আক্রমণ শুরু করে।
ট্রাম্প বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়ার সামরিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি জানার এবং সম্পূর্ণরূপে বোঝার পর’ তার অবস্থান বদলে গেছে। তিনি রাশিয়াকে ‘কাগুজে বাঘ’ আখ্যা দিয়ে বলেন, পুতিন ও রাশিয়া বড় অর্থনৈতিক সংকটে আছে, তাই এখনই ইউক্রেনের পদক্ষেপ নেয়ার সময়।
এদিকে ট্রাম্পের অবস্থান পরিবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলেনস্কি। জাতিসঙ্ঘ ভবনে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, তিনি বুঝতে পেরেছেন যে ‘যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে’ ইউক্রেনকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছুক।
তবে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা কেমন হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দিতে না পারলেও সম্ভাব্য সহায়তার মধ্যে অস্ত্র, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও ড্রোন থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সূত্র : বিবিসি