মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কার পেতে চান এমন ধারণাকে গুরুত্বহীন বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। আমি যা করতে পারি তা হলো যুদ্ধ বন্ধ করা। আমি মনোযোগ চাই না। আমি কেবল জীবন বাঁচাতে চাই।’
তবে ট্রাম্পের এই মন্তব্য তার আগের বক্তব্যের সাথে সাংঘর্ষিক। আগে তিনি বলেছিলেন, কয়েকটি সংঘাত শেষ করতে তার ভূমিকার জন্য মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটি তার প্রাপ্য।
একই টেলিফোন সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি নিশ্চিত করতে সহায়তা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, ‘কিছু একটা ঘটতে চলেছে। আমরা এটি সম্পন্ন করতে যাচ্ছি।’
নোবেল কমিটি ১০ অক্টোবর শান্তি পুরস্কারে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করবে। ট্রাম্পের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বারাক ওবামাসহ পূর্ববর্তী চারজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প দুঃখ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘তারা আমাকে কখনো নোবেল শান্তি পুরস্কার দেবে না। আমি এটির যোগ্য, কিন্তু এরপরও তারা কখনো এটি দেবে না।’
এরপর জুলাইয়ে তার প্রেসসচিব ক্যারোলিন লিভিট সেই দাবি আরো জোরালো করেন। তিনি বলেন, ট্রাম্পের আরো আগেই এই পুরষ্কার পাওয়া উচিত ছিল।
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরাও একই সুরে কথা বলেছেন। গত সপ্তাহে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ট্রাম্পকে ইতিহাসের ‘সর্বকালের সেরা’ নোবেল প্রার্থী আখ্যা দেন। তার দাবি, ট্রাম্পের ‘গেম-চেঞ্জিং’ কাজের কারণে তিনি এই সম্মানের যোগ্য।
নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটির পাঁচ সদস্যকে নরওয়ের পার্লামেন্ট নিয়োগ দেয়। ট্রাম্প নোবেল জয়ের আশা নিয়ে নরওয়ের অর্থমন্ত্রী ইয়েন্স স্টলটেনবার্গের সাথে আলোচনা করেছেন বলেও জানা গেছে। তবে স্টলটেনবার্গ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ইসরাইল ও পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশ মনোনয়ন দিয়েছে। ট্রাম্প দাবি করেন, চলতি বছরের শুরুর দিকে পাকিস্তান ও প্রতিবেশী দেশ ভারতের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে তিনি ভূমিকা রেখেছেন।
তিনি এর আগেও দাবি করেছিলেন, ছয় বা সাতটি যুদ্ধ তিনি ‘শেষ’ করেছেন। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এসব সংঘাতের কয়েকটি কিছুদিনের মধ্যেই থেমে গিয়েছিল, যদিও এর পেছনে দীর্ঘদিনের বিরোধ কাজ করছিল। অনেক শান্তি চুক্তি টিকে থাকবে কি-না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
সূত্র : বিবিসি