ভেনিজুয়েলার উপকূল থেকে ট্যাঙ্কার আটকের একদিন পর যুক্তরাষ্ট্র আরো ছয়টি জ্বালানি তেলবাহী জাহাজের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এছাড়াও ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর কিছু আত্মীয়স্বজন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট সাংবাদিকদের বলেছেন, জব্দ করা জাহাজটির নাম স্কিপার। এটি ‘অবৈধ তেল পরিবহনের’ সাথে জড়িত ছিল। জাহাজটিকে একটি মার্কিন বন্দরে নিয়ে যাওয়া হবে।
এদিকে কারাকাস এটিকে ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
সম্প্রতি ক্যারিবীয় অঞ্চলে নিজেদের সামরিক অবস্থান ক্রমেই জোরদার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভেনিজুয়েলা ও কলম্বিয়ার আন্তর্জাতিক পানিসীমায় সন্দেহভাজন মাদক চোরাচালানের নৌযানগুলোর ওপর একাধিক হামলা চালিয়েছে তারা। ওয়াশিংটন একে ‘মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ’ বলে দাবি করেছে।
ট্রাম্প প্রশাসন ভেনিজুয়েলার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচার করছে। অন্যদিকে বিশ্বের বৃহত্তম তেল মজুদের আবাসস্থল ভেনিজুয়েলা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে, তারা তাদের সম্পদ চুরি করার চেষ্টা করছে। বুধবার মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ভেনিজুয়েলা কখনোই ‘তেলের উপনিবেশ’ হয়ে উঠবে না।
কিন্তু হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘দেশে অবৈধ মাদক প্রবাহ বন্ধ’ এবং নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এছাড়া প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর স্কিপার জাহাজে থাকা তেল জব্দ করার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
পরে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট জানান, মাদুরোর স্ত্রীর তিন ভাগনে, বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং জাহাজের পর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভেনিজুয়েলার নেতার ‘স্বৈরাচারী ও নৃশংস দমন-পীড়ন’ মোকাবেলা করা হবে।
সূত্র : বিবিসি



