ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বৈঠকে যোগ দিয়েছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলেছেন, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরের দিনগুলো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা তৈরি করছে। তবে বৈঠক সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
টনি ব্লেয়ার ২০০৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়ার পর কয়েক বছর মধ্যপ্রাচ্য দূত হিসেবে কাজ করেন। সে সময় তিনি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পরিবেশ তৈরির ওপর গুরুত্ব দেন।
বৈঠকটি এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হলো যখন ইসরাইলি সেনারা ফিলিস্তিনিদের গাজা শহর খালি করার নির্দেশ দিয়েছে। এরই মধ্যে শহরের নতুন এলাকায় প্রবেশ করেছে ইসরাইলি ট্যাংক, বাড়িঘর ধ্বংস করছে। ফলে বহু বাসিন্দা সেখান থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
গাজায় এখনো প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনি বসবাস করেন। ইসরাইলের সাম্প্রতিক অভিযানে ইতোমধ্যে হাজারো মানুষ শহরের বিভিন্ন অংশে চলে গেছেন। চলতি মাসের শুরুতে ইসরাইল গাজা শহরসহ পুরো গাজা উপত্যকা দখলের পরিকল্পনা ঘোষণা করে। তারা গাজা শহরকে হামাসের শেষ ঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
এদিকে মঙ্গলবার ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে স্টিভ উইটকফ বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, গাজায় যুদ্ধ আগামী চার মাসের মধ্যে শেষ হতে পারে। এটি যেভাবেই হোক এ বছরের মধ্যেই শেষ করা হবে।
যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা পরিচালনার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি অত্যন্ত বিস্তৃত পরিকল্পনা সাজাচ্ছি। অনেকেই দেখবেন, এটি কতটা শক্তিশালী ও সুপরিকল্পিত এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মানবিক অভিপ্রায়কে প্রতিফলিত করে।’
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুদ্ধের অবসান চান এবং এই অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি দেখতে চান।



