ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নিয়ে সুইডিশ জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ সম্প্রতি দ্বিতীয়বারের মতো ইসরাইলের অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করেছেন। এ সময় ইসরাইলি নৌবাহিনীর হাতে আটক হন তিনি। আর এ ঘটনায় তাকে ‘সমস্যা সৃষ্টিকারী’ বলে উপহাস করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
থুনবার্গ ৪০০ জনেরও বেশি মানবাধিকার কর্মীর সাথে অবরুদ্ধ গাজায় যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শুক্রবার ইসরাইলি নৌবাহিনী তাকে আটক করে। তাদের মধ্যে ১৩০ জনেরও বেশি কর্মীকে সপ্তাহান্তে তুরস্কে ফেরত পাঠানো হয়েছে। গতকাল সোমবার গ্রেটা থুনবার্গসহ আরো একদল মানবাধিকারকর্মীকে গ্রিস ও স্লোভাকিয়ায় ফেরত পাঠিয়েছে ইসরাইল।
সোমবার (৬ অক্টোবর) ওভাল অফিসে গ্রেটা থুনবার্গ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি একজন সমস্যা সৃষ্টিকারী। তিনি এখন আর পরিবেশে আগ্রহী নন। এখন তিনি এতেই বেশি আগ্রহী। তাকে চিকিৎসক দেখানো উচিত। তার রাগ নিয়ন্ত্রণের সমস্যা আছে।’
এর আগে, শনিবার ইসরাইলি বন্দিদশা থেকে ফিরে আসার পর ফ্লোটিলার কয়েকজন মানবাধিকারকর্মী ও আইনজীবী অভিযোগ করেন, গ্রেটা থুনবার্গসহ আটক কর্মীদের নির্যাতন করেছে ইসরাইল।
তবে ইসরাইল এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অন্যদিকে, ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গভির বলেন, কর্মীদের যে কঠোর পরিস্থিতিতে আটকে রাখা হচ্ছে তাতে তিনি ‘গর্বিত’।
গ্রেটা থুনবার্গ ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে বহু বছর ধরেই বিবাদ চলছে। প্রায় সময়ই তারা একে অপরকে কথা দিয়ে আক্রমণ করেছেন।
গ্রেটা ২০১৯ সালে টাইমস-এর বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব হিসেবে মনোনীত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, তার ‘রাগ নিয়ন্ত্রণজনিত সমস্যা’ আছে। পরে এক্সের পরিচিতি অংশ তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, ‘এমন একজন কিশোরী, যে তার রাগ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাজ করছে।’
সূত্র : আরটি