উৎক্ষেপণের ৩০ মিনিটেই বিধ্বস্ত স্পেসএক্সের রকেট

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস থেকে মঙ্গলবার মানুষবিহীন রকেটটি উৎক্ষেপণের মাত্র ৩০ মিনিট পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাকাশে ঘূর্ণন অবস্থায় বিধ্বস্ত হয়।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
স্পেসএক্সের রকেট উৎক্ষেপণ
স্পেসএক্সের রকেট উৎক্ষেপণ |সংগৃহীত

বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের মহাকাশভিত্তিক কোম্পানি স্পেসএক্স আবারো এক পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে ব্যর্থ হয়েছে। উৎক্ষেপণের ৩০ মিনিট পরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে স্পেসএক্সের নবম স্টারশিপ পরীক্ষামূলক ফ্লাইট।

বুধবার (২৮ মে) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস থেকে মঙ্গলবার মানুষবিহীন রকেটটি উৎক্ষেপণের মাত্র ৩০ মিনিট পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাকাশে ঘূর্ণন অবস্থায় বিধ্বস্ত হয়।

এদিকে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, রকেটে জ্বালানি লিক হওয়ায় এটি বুধবার নির্ধারিত সময়ের আগেই বায়ুমণ্ডলে ফিরে আসে এবং বিস্ফোরিত হয়।

অপরদিকে স্পেসএক্স সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছে, স্টারশিপটি ‘দ্রুত অপ্রত্যাশিতভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে’, অর্থাৎ রকেটটি বিস্ফোরিত হয়েছে। সংস্থাটি আরো বলেছে, ‘এ ধরনের পরীক্ষার মাধ্যমে, আমরা যা শিখি তা থেকেই সাফল্য আসে এবং আজকের পরীক্ষা আমাদের স্টারশিপের নির্ভরযোগ্যতা উন্নত করতে সাহায্য করবে কারণ স্পেসএক্স চায় একাধিক গ্রহে মানববসতি গড়ে উঠুক।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪০৩ ফুট দীর্ঘ এই মহাকাশযানটি আগের সব পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের তুলনায় অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছিল। তবে এটি সফলভাবে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি। এর আগে ৬ মার্চ একটি স্টারশিপ উৎক্ষেপণের পরপরই বিস্ফোরিত হয়েছিল।

স্টারশিপের উন্নয়নে মাস্ক কোটি কোটি ডলার ব্যয় করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী প্রযুক্তি উদ্যোক্তার দাবি, এ প্রকল্পের মাধ্যমে মঙ্গল গ্রহে মানব বসতি স্থাপন সম্ভব হবে। পাশাপাশি নাসার সাথে যৌথভাবে কাজ করে ৫০ বছরেরও বেশি সময় পর মানুষকে আবার চাঁদে ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে স্পেসএক্স।

তবে বারবার ব্যর্থতার কারণে স্পেসএক্সের পরীক্ষামূলক ফ্লাইটগুলোর ধ্বংসাবশেষ যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চল ও ক্যারিবীয় অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। সর্বশেষ এ উৎক্ষেপণের সময় মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) ফ্লোরিডার মিয়ামিসহ চারটি বিমানবন্দরের যাত্রা সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছিল।