মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির মুখে থাকা অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, পরমাণু শক্তি ও বন্দর সম্প্রসারণকে সমর্থন করে বৃহস্পতিবার প্রধান জাতীয় প্রকল্পগুলোর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। তালিকায় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) উৎপাদন দ্বিগুণ করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
মন্ট্রিয়েল থেকে এএফপি জানিয়েছে, কার্নি বলেছেন, আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতা বিনিয়োগ ও কানাডার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ব্যাহত করেছে। তাই অনুমোদন প্রক্রিয়া দ্রুত করার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আলবার্টা প্রদেশে দেশের জ্বালানি কেন্দ্র প্রকল্প অফিসের উদ্বোধনীতে তিনি বলেন, দ্রুততার সংজ্ঞা এখন নাটকীয়ভাবে বদলেছে। কানাডা এখন ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত।
চলতি বছরের মার্চে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কার্নি সতর্ক করে আসছেন, ট্রাম্পের নেতৃত্বে বিশ্ব বাণিজ্য কাঠামোর পরিবর্তনের ফলে কানাডা দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক অস্থিরতার মুখোমুখি হবে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, কানাডাকে বড় অবকাঠামোগত ব্যয় ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করে হবে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল হতে না হয়।
মার্ক কার্নির গঠিত মেজর প্রজেক্টস অফিসকে দ্রুত প্রকল্প অনুমোদন, অর্থায়ন সহজীকরণ ও বিনিয়োগ সুরক্ষায় দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রথম পাঁচটি প্রকল্প ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। সেগুলো হলো ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় একটি এলএনজি প্ল্যান্ট, অন্টারিওতে একটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র, মন্ট্রিয়েল বন্দরের সম্প্রসারণ এবং দুটি খনি প্রকল্প।
কার্নি জানান, আর্কটিক অঞ্চলে সর্ব-মৌসুমি বন্দর অবকাঠামো প্রকল্পকে তিনি অগ্রাধিকার দেবেন। যা জাতীয় নিরাপত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার। কারণ, ওই অঞ্চলে রাশিয়াসহ অন্যান্য দেশের সাথে সম্পদের প্রতিযোগিতা বাড়ছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের সুরক্ষার জন্য আমরা আর ভৌগোলিক অবস্থার ওপর নির্ভর করতে পারি না। ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবে কানাডার অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আমি প্রবৃদ্ধি পুনরুদ্ধারে উদ্যোগী হয়েছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের অটো, ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্ক আরোপ কানাডার এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পখাতকে চাপে ফেলেছে এবং কর্মসংস্থান হ্রাস করেছে। ফলে গত আগস্টে কানাডার বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৭.১ শতাংশে। যা মহামারির বাইরে ২০১৬ সালের পর সর্বোচ্চ।
সূত্র : বাসস