মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি ক্ষমতায় আসার পর থেকে মাদকাসক্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো থেকে শুরু করে হামলা ও চুরির মতো অপরাধের জন্য প্রায় ৮০ হাজার নন-ইমিগ্র্যান্ট (অভিবাসনপ্রত্যাশী নয় এমন) ভিসা বাতিল করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বুধবার (৫ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন।
ভিসা বাতিলের পরিমাণ ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে শুরু হওয়া ব্যাপক অভিবাসন দমনপীড়নের একটি প্রতিফলন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্যাপকহারে অভিবাসীদের বিতাড়িত করা হয়েছে। এর মধ্যে বৈধ ভিসাধারীও ছিলেন। এছাড়াও প্রশাসন ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে আরো কঠোর নীতি গ্রহণ করেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাচাই-বাছাই ও স্ক্রিনিং বাড়িয়েছে।
প্রায় ১৬ হাজার ভিসা মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর জন্য বাতিল করা হয়েছে। আরো প্রায় ১২ হাজার ভিসা হামলা এবং আট হাজার ভিসা চুরির ঘটনার জন্য বাতিল করা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পররাষ্ট্র দফতরের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘মূলত এই তিনটি অপরাধই এই বছর প্রায় অর্ধেক ভিসা বাতিলের জন্য দায়ী।’
এর আগে, আগস্ট মাসে পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র বলেছিলেন, ওয়াশিংটন ছয় হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছে। তাদের মেয়াদোত্তীর্ণ সময় ও আইন ভঙ্গের জন্য ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকজনের ভিসা ‘সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করার’ জন্য বাতিল করা হয়েছে।
গত মাসে পররাষ্ট্র দফতর আরো জানিয়েছিল, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও রক্ষণশীল কর্মী চার্লি কার্কের হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্যের জন্য তারা কমপক্ষে ছয়জনের ভিসা বাতিল করেছে।
সূত্র : রয়টার্স



