রুশ তেল কেনা বন্ধ না করলে ভারতের ওপর ‘ব্যাপক’ শুল্কারোপের হুমকি ট্রাম্পের

ট্রাম্প বলেন, মোদি তাকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে রাশিয়া থেকে ভারত তেল কেনা বন্ধ করবে। কিন্তু ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সেদিন তাদের মধ্যে ফোনে আলাপ করার বিষয়ে তারা অবগত নয়।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প |সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রোববার (১৯ অক্টোবর) আবারো বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে বলেছেন যে ভারত রুশ তেল কেনা বন্ধ করবে। একইসাথে তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন, যদি ভারত তা না করে তাহলে তাদের উচ্চশুল্ক দিতে হবে।

ট্রাম্প এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সাথে কথা বলেছি, এবং তিনি বলেছেন যে তিনি রাশিয়ান তেলের বিষয়ে কিছু করবেন না।’

মোদি ও ট্রাম্পের মধ্যে কথোপকথনের বিষয়ে ভারতের অবগত না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যদি তারা তা বলতে চায়, তাহলে তারা কেবল বিশাল অঙ্কের শুল্ক দিতে থাকবে। এবং তারা তা করতে চায় না।’

ভারতের সাথে দীর্ঘ বাণিজ্য আলোচনায় রাশিয়ার তেল ট্রাম্পের জন্য অন্যতম প্রধান অপ্রীতিকর বিষয়। রাশিয়ার থেকে তেল কেনার জন্য তিনি ভারতীয় পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক ধার্য করেন। মার্কিন সরকার বলেছে, রাশিয়া এই তেল বিক্রির আয় ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়ন করে।

ইউক্রেনে ২০২২ সালে আক্রমণের জন্য পশ্চিমা দেশগুলো রুশ তেল কেনা বন্ধ করে দেয় এবং মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ফলে ভারত সমুদ্রপথে রাশিয়ার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হয়ে উঠেছে, যা তারা কম মূল্যে কেনে।

বুধবার ট্রাম্প বলেন, মোদি সেদিন তাকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে রাশিয়া থেকে ভারত তেল কেনা বন্ধ করবে। কিন্তু ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সেদিন তাদের মধ্যে ফোনে আলাপ করার বিষয়ে তারা অবগত নয়। মন্ত্রণালয় আরো বলে, নয়াদিল্লির প্রধান উদ্বেগ ‘ভারতীয় ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা করা’।

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা বলেন, ভারত রাশিয়ার তেল ক্রয় অর্ধেক করে দিয়েছে। তবে ভারতীয় সূত্র জানায়, তাৎক্ষণিকভাবে তেল কেনায় কোনো হ্রাস দেখা যায়নি।

সূত্রগুলো আরো জানায়, ভারতীয় পরিশোধকরা ইতোমধ্যেই নভেম্বর লোডিংয়ের জন্য অর্ডার দিয়েছে। এর মধ্যে কিছু ডিসেম্বরে আসার কথা রয়েছে। তাই ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে আমদানির ক্ষেত্রে যেকোনো কাটছাঁট দেখা দিতে পারে।

সূত্র : রয়টার্স