ট্রাম্পকে যে শর্তে নোবেল পুরস্কারের মনোনয়ন দেবেন হিলারি ক্লিনটন

ক্লিনটন বলেন, ‘আমি আশা করি, নোবেল শান্তি পুরস্কার হোক বা যেকোনো কারণেই হোক না কেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কেবল ইউক্রেন ও তার সাহসী জনগণের পক্ষেই নয় বরং আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তা ও স্বার্থের জন্যে পুতিনের বিপক্ষে দাঁড়াতে পারবেন।’

নয়া দিগন্ত অনলাইন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হিলারি ক্লিনটন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হিলারি ক্লিনটন |সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন শুক্রবার জানিয়েছেন, ইউক্রেনের কোনো ভূখণ্ড রাশিয়াকে না দিয়েই যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই যুদ্ধের অবসান নিশ্চিত করতে পারেন, তাহলে তিনি নিজেই তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেবেন।

এদিকে শুক্রবার বৈঠকের পর মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, তিনি রুশ প্রেসিডেন্টের সাথে একমত হয়েছেন যে এই যুদ্ধের অবসান হবে রাশিয়ার কাছে ইউক্রেনের কিছু ভূখণ্ড তুলে দিয়ে এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা গ্যারান্টির মাধ্যমে।

জেসিকা টারলভের ‘রেজিং মডারেটস’ পডকাস্টে ক্লিনটন বলেন, ‘সত্যি বলতে, যদি তিনি এই ভয়াবহ যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারেন, যদি তিনি ইউক্রেনকে এমন একটি অবস্থানে না ফেলেই এটি শেষ করতে পারেন যেখানে ইউক্রেনকে তার ভূখণ্ড আগ্রাসনকারীর কাছে ছেড়ে দিতে হবে না, তিনি যদি পুতিনের সামনে দাঁড়াতে পারেন, এমন কিছু যা আমরা দেখিনি। এটিই সুযোগ, যদি ট্রাম্প এমন কিছু করতে পারেন তাহলে আমি তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করব।’

তিনি আরো বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি হতে হবে। কোনো অঞ্চলের আদান-প্রদান হবে না, এবং সময়ের সাথে সাথে পুতিনের দখল করা অঞ্চল থেকে আসলেই সরে আসা উচিত, যাতে তিনি তার সদিচ্ছার প্রচেষ্টা প্রদর্শন করতে পারেন। যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তা করতে পারেন, তাহলে আমি তাকে নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করতাম। কারণ এখানে আমার লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ও প্ররোচনায় পুতিনের কাছে আত্মসমর্পণের অনুমতি না দেয়া।’

ক্লিনটন বলেন, ‘আমি আশা করি, নোবেল শান্তি পুরস্কার হোক বা যেকোনো কারণেই হোক না কেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কেবল ইউক্রেন ও তার সাহসী জনগণের পক্ষেই নয় বরং আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তা ও স্বার্থের জন্যে পুতিনের বিপক্ষে দাঁড়াতে পারবেন।’

সূত্র : সিবিএস