এবার শিকাগোতে সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা করছেন ট্রাম্প

গত শুক্রবার সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘শিকাগোর অবস্থা ভয়াবহ। আমরা সেটি পরবর্তী সময়ে ঠিক করব।’

নয়া দিগন্ত অনলাইন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প |সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অপরাধ, গৃহহীন ও অনথিভুক্ত অভিবাসীদের দমনের জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা ঘোষণা করার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দফতর পেন্টাগন শিকাগোতে মার্কিন সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে।

শনিবার (২৩ আগস্ট) ওয়াশিংটন পোস্টের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে কাজ চলছে। এর কিছু বিকল্প নিয়েও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় জনবহুল শহরটিতে ন্যাশনাল গার্ডের কমপক্ষে কয়েক হাজার সদস্য মোতায়েন করা। ওয়াশিংটন পোস্ট বিষয়টির সাথে পরিচিত কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে, গত শুক্রবার সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘শিকাগোর অবস্থা ভয়াবহ। আমরা সেটি পরবর্তী সময়ে ঠিক করব।’ এ সময় তিনি শহরটির মেয়রের কড়া সমালোচনা করেন।

এদিকে শনিবার রাতে দেয়া এক বিবৃতিতে পেন্টাগন জানায়, ‘ভবিষ্যৎ কোনো অভিযানের বিষয়ে আমরা আগে থেকে বলতে চাই না। প্রতিরক্ষা দফতর একটি পরিকল্পনামূলক সংস্থা, যা নিয়মিত অন্যান্য সংস্থার সাথে ফেডারেল সম্পদ ও কর্মীদের সুরক্ষায় কাজ করছে।’

ডেমোক্র্যাট দলের নেতা ও ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের গভর্নর জেবি প্রিটজকার বলেন, শিকাগোতে সামরিক সহায়তার প্রয়োজন আছে বলে ফেডারেল সরকারের পক্ষ থেকে অঙ্গরাজ্যকে কোনোভাবে অবহিত করা হয়নি। এ মুহূর্তে ন্যাশনাল গার্ড বা অন্য কোনো বাহিনী মোতায়েনের মতো জরুরি অবস্থাও নেই।

তিনি আরো বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি সংকট তৈরি করার চেষ্টা করছেন। সেনাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছেন এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারণ পরিবারগুলোর দুঃখ-কষ্ট থেকে মনোযোগ সরাতে চাইছেন।’

শিকাগোর মেয়র ব্র্যান্ডন জনসনের মুখপাত্র তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে শুক্রবার জনসন বলেছিলেন, শহর প্রশাসন এ ধরনের অবৈধ সেনা মোতায়েন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

গত সপ্তাহেই ট্রাম্পের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তিনটি অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান গভর্নর শত শত ন্যাশনাল গার্ড সদস্য রাজধানী ওয়াশিংটনে পাঠানোর ঘোষণা দেন। ট্রাম্প দাবি করেন, শহরটি অপরাধে ভরে গেছে। তবে বিচার বিভাগীয় তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ওয়াশিংটনে সহিংস অপরাধের হার ছিল গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।