মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, স্থলপথে ভেনিজুয়েলার মাদক পাচার বন্ধের প্রচেষ্টা ‘খুব শিগগিরই’ শুরু হবে। যা কারাকাসের সাথে ওয়াশিংটনের উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভেনিজুয়েলার দাবি, এই মাদকবিরোধী অভিযানের লক্ষ্য দেশটির শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করা।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) থ্যাঙ্কসগিভিং উপলক্ষে মার্কিন সৈন্যদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে ট্রাম্প এই মন্তব্য করেছেন। তিনি যেসব মার্কিন সামরিক বাহিনীর উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকটি তার মাদকবিরোধী অভিযানে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছে।
ভাষণ দেয়ার সময় টেক্সাসভিত্তিক বিমান বাহিনীর ‘বোম্বিং ইউনিট’কে সম্বোধন করে ট্রাম্প বলেন, ‘সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আপনারা ভেনিজুয়েলার মাদক পাচারকারীদের ঠেকাতে কাজ করছেন। তাদের সংখ্যা অনেক।’
মার্কিন সেনাবাহিনী আন্তর্জাতিক পানিসীমায় মাদক পাচারের অভিযোগে বিভিন্ন নৌযানের ওপর ধারাবাহিক বিমান হামলা চালিয়েছে। তবে তাদের দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই। বার্তাসংস্থা এএফপির পরিসংখ্যান অনুসারে, ক্যারিবিয়ান ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে এসব হামলায় কমপক্ষে ৮৩ জন নিহত হয়েছে।
মাদক পাচার বন্ধে মার্কিন প্রচেষ্টার বিবরণ দিতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছি, সমুদ্রপথে মাদক পাচার প্রায় ৮৫ শতাংশ বন্ধ হয়ে গেছে। আপনারা সম্ভবত লক্ষ্য করেছেন, তারা সমুদ্রপথে আর মাদক পাচার করতে চাইছে না। এখন আমরা তাদের স্থলপথে থামাতে শুরু করব।’
তিনি আরো বলেন, ‘এছাড়াও স্থল অভিযান সহজ। এটি খুব শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে।’
ট্রাম্পের এই মন্তব্য এমন সময়ে এলো, যখন তার প্রশাসন ভেনিজুয়েলার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি বলেছিলেন, তিনি ভেনিজুয়েলার নেতা নিকোলাস মাদুরোর সাথে আলোচনা করতে প্রস্তুত।
এর মধ্যেও সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ওয়াশিংটন এই অঞ্চলে একাধিক বিমান বাহিনীর প্রদর্শনী করেছে। ভেনিজুয়েলার উপকূলের কাছে বি-৫২ ও বি-১বি বোমারু বিমান উড়তে দেখা গেছে।
সূত্র : এএফপি



