যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কম শরণার্থী প্রবেশের সীমা নির্ধারণ করেছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) প্রকাশিত এক নথিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ অর্থবছরের জন্য মাত্র সাত হাজার ৫০০ জনকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেয়া হবে।
নথিতে বলা হয়েছে, মার্কিন শরণার্থী ব্যবস্থা বিশ্বজুড়ে অনিরাপদ পরিস্থিতি থেকে পালিয়ে আসা লাখ লাখ মানুষের জন্য বন্ধ থাকবে। শরণার্থী গ্রহণের ক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘু আফ্রিকানার জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এতে আরো বলা হয়েছে, ‘নির্বাহী আদেশ ১৪২০৪ অনুসারে, শরণার্থী গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার আফ্রিকানাদের এবং নিজ নিজ জন্মভূমিতে অবৈধ বা অন্যায্য বৈষম্যের শিকার অন্যান্যদের বিবেচনা করা হবে।’
ট্রাম্প বরাবরই বলে আসছেন, কৃষ্ণাঙ্গ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে শ্বেতাঙ্গরা নির্যাতিত হচ্ছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার ও শীর্ষ আফ্রিকান কর্মকর্তারা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বৃহস্পতিবারের নথিতে আরো ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন শরণার্থী পরিষেবা পরিচালনাকারী গোষ্ঠীগুলোকে আরো সংকুচিত করবে। বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কাছে যেসব শরণার্থী পুনর্বাসন অনুদান ও চুক্তি রয়েছে, সেগুলো স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগের শরণার্থী পুনর্বাসন অফিসে স্থানান্তরিত হবে।
ট্রাম্পের নির্ধারিত সীমা কংগ্রেস ১৯৮০ সালে শরণার্থী আইন পাস করার পর থেকে সবচেয়ে কম। ওই আইনের মধ্যেমেই যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী গ্রহণ ও পুনর্বাসনের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া চালু হয়। এরপর থেকে কমপক্ষে ২০ লাখ শরণার্থী যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিয়েছে। ক্ষমতায় এসে ট্রাম্প সেই কর্মসূচি স্থগিত করার চেষ্টা করেছিলেন, যা আদালতে আটকে যায়।
বৃহস্পতিবার ঘোষিত সাত হাজার ৫০০ জনকে প্রবেশের সীমা সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শেষ বছরে এক লাখ ২৫ শরণার্থীকে প্রবেশের অনুমতি দেয়ার একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র। নতুন সীমাটি ২০২৫ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র : আল জাজিরা



