গাজার আরো কিছু বন্দী মারা যেতে পারে : ট্রাম্প

‘আমরা বলেছি, এখনই তাদের সবাইকে মুক্তি দিন, তাহলে তাদের জন্য অনেক ভালো কিছু হবে। কিন্তু যদি আপনারা তাদের সবাইকে মুক্তি না দেন, তাহলে পরিস্থিতি কঠিন ও ভয়াবহ হবে।’

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ডোনাল্ড ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প |সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় আরো কিছু ইসরাইলি বন্দী মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন।

শুক্রবার তিনি বলেন, ইসরাইলের নতুন হামলার মধ্যেও বন্দীদের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র হামাসের সাথে ‘গভীর আলোচনায়’ আছে।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

ইসরাইলের কট্টর মিত্র ট্রাম্প ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি যা শুনেছি, তাতে মনে হচ্ছে সম্প্রতি আরো কিছু বন্দী মারা যেতে পারে। আমি আশা করি আমার ধারণা ভুল। তবে এই মুহূর্তে ৩০টিরও বেশি লাশ নিয়ে আলোচনা চলছে।’

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলে হামলা চালিয়ে ২৫১ জন ইসরাইলি নাগরিককে বন্দী করে। এদের মধ্যে ৪৭ জন এখনো গাজায় আছেন।

ইসরাইলের সামরিক বাহিনী জানায়, এই ৪৭ জনের মধ্যে ২৫ জন মারা গেছেন। ইসরাইল তাদের লাশ ফেরত চাইছে।

ট্রাম্প একপর্যায়ে বলেন, ‘প্রায় ৩৮ জন মৃত ব্যক্তিদের সবাই যুবক ও সুন্দর।’ এরপর তিনি সংখ্যাটি প্রথমে ২০ এবং পরে ৩০ বলেন।

ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এখনো হামাসের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা হামাসের সঙ্গে খুব গভীর আলোচনা করছি।’

হামাসের হাতে থাকা বন্দীদের প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা বলেছি, এখনই তাদের সবাইকে মুক্তি দিন, তাহলে তাদের জন্য অনেক ভালো কিছু হবে। কিন্তু যদি আপনারা তাদের সবাইকে মুক্তি না দেন, তাহলে পরিস্থিতি কঠিন ও ভয়াবহ হবে।’

ইসরাইল গাজা দখলের পরিকল্পনা করছে। যুদ্ধের কারণে শহরটি ইতোমধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ইসরাইল সতর্ক করে দিয়েছে যে তারা হামাসের ব্যবহৃত বলে মনে হওয়া সব উঁচু ভবনে হামলা চালাবে।

ইসরাইলি পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ওই হামলায় ১ হাজার ২১৯ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।

অন্যদিকে, হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইসরাইলের পাল্টা হামলায় অন্তত ৬৪ হাজার ৩০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক।

সূত্র : এএফপি/বাসস