মার্কিন বাহিনী আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরো একটি মাদক পাচারকারী নৌকায় হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ হামলায় কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন।
ওয়াশিংটন থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক হামলাগুলোর মতো এবার ট্রাম্প উল্লেখ করেননি যে হামলাটি ভেনেজুয়েলার উপকূলে হয়েছে কি-না। সেখানে মার্কিন নৌবাহিনী মাদক পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একটি ছোট নৌবহর মোতায়েন করেছে।
তিনি শুধু জানিয়েছেন, এটি মার্কিন সাউদার্ন কমান্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় ঘটেছে। এর মধ্যে মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা, পাশাপাশি ক্যারিবীয় অঞ্চলও রয়েছে।
হামলাটি কখন ঘটেছে তা নির্দিষ্ট না করে ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক বার্তায় বলেন, গোয়েন্দা তথ্য নিশ্চিত করেছে যে নৌকাটি মাদক পরিবহন করছিল এবং এটি একটি পরিচিত পাচারপথ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করছিল।
তিনি একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি নৌযানে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। এর ফলে নৌযানটিতে বিস্ফোরণ ঘটে আগুন ধরে যায় এবং পুরোপুরি ধ্বংস হয়।
ট্রাম্প বার্তায় আরো বলেন, ‘এই অভিযানে আন্তর্জাতিক জলসীমায় থাকা নৌযানটিতে তিনজন মাদক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। এই অভিযানকালে মার্কিন বাহিনীর কোনো ক্ষতি হয়নি।’
ভেনিজুয়েলার উপকূলের দক্ষিণ ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র আটটি যুদ্ধজাহাজ, একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন ও নিকটবর্তী পুয়ের্তো রিকোতে ১০টি যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের ব্যাপক নিন্দা করা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, দেশটি ভেনিজুয়েলায় আক্রমণের পরিকল্পনা করছে।
এটি হত্যাকাণ্ডের বৈধতা নিয়েও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, মার্কিন আইন অনুসারে মাদক পাচার মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ নয়।
এদিকে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো মাদক পাচারের বিরুদ্ধে অভিযানের আড়ালে, তার দেশে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
সূত্র : বাসস