দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই ভিত্তিহীন দাবির জেরেই দেশটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবে না যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, এটি ‘সম্পূর্ণ লজ্জাজনক’ যে দক্ষিণ আফ্রিকা এই বৈঠকের আয়োজন করছে। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে এই মাসের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সম্মেলনে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলোর নেতারা অংশ নেবেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হোয়াইট হাউসের এই সিদ্ধান্তকে ‘দুঃখজনক’ বলে বর্ণনা করেছে। অন্যদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ক্রিসপিন ফিরি বিবিসিকে বলেছেন, শীর্ষ সম্মেলনের সাফল্য ‘একটি সদস্য রাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করবে না’।
দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো রাজনৈতিক দল, এমনকি আফ্রিকানার ও শ্বেতাঙ্গ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোও দেশটিতে কোনো গণহত্যা চলছে এমন দাবি করেনি।
বিবিসির নিউজআওয়ার অনুষ্ঠানে ফিরি বলেন, ট্রাম্প ‘দক্ষিণ আফ্রিকার ঔপনিবেশিক অতীতের বেদনাদায়ক ইতিহাস ব্যবহার করে একটি কাল্পনিক সঙ্কট তৈরি করছেন’। দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ নির্যাতনের কোনো প্রমাণ নেই।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব কিছু সমস্যা রয়েছে এবং আমরা সেগুলো মোকাবেলা করছি। আমার মনে হয় জাতি নির্বিশেষে অপরাধ সবাকেই প্রভাবিত করে। আমরা যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াই সম্মেলন করব।’
এদিকে ট্রাম্প তার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দাবি করেন, ‘আফ্রিকানাদের হত্যা ও জবাই করা হচ্ছে, এবং তাদের জমি ও খামার অবৈধভাবে বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত এই মানবাধিকার লঙ্ঘন চলতে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো মার্কিন সরকারি কর্মকর্তা সেখানে যোগ দেবেন না।’
দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার বলছে, শ্বেতাঙ্গ গণহত্যার দাবি ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং এর কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ নেই’। ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি আদালত দাবিগুলোকে ‘কল্পনাপ্রসূত’ বলে খারিজ করে দেয়।
সূত্র : বিবিসি



