বৈঠকের পরও ট্রাম্পকে ফ্যাসিস্ট মনে করেন মামদানি

গত শুক্রবার ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট হিসেবে পরিচিত মামদানি রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে বৈঠক করেন।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি |সংগৃহীত

নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি এখনো বিশ্বাস করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন ‘ফ্যাসিস্ট’। হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে উষ্ণ ও হাস্যোজ্জ্বল এক বৈঠকের পরও তিনি এই ধারণা পোষণ করেন বলে জানিয়েছেন।

রোববার (২৩ নভেম্বর) এনবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘এটা এমন একটি বিষয়, যা আমি এর আগেও বলেছি, আজও বলছি।’

বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গত শুক্রবার ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট হিসেবে পরিচিত মামদানি রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে বৈঠক করেন। এই বৈঠককে গত কয়েক মাসের তীব্র রাজনৈতিক বাকযুদ্ধের পর তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য এক অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ সময় দুই পক্ষই শহরের ভবিষ্যৎ নিয়ে সহযোগিতার অঙ্গীকার করেন।

ট্রাম্প শুক্রবার সাংবাদিকদের সামনে মামদানির সাথে সৌহাদ্যপূর্ণ ও আন্তরিক আচরণ করেন। এক সময় ট্রাম্প উগান্ডায় জন্ম নেয়া মামদানিকে দেশ থেকে বহিষ্কারের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

এক সাংবাদিক মামদানিকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি কি এখনো ট্রাম্পকে ফ্যাসিস্ট মনে করেন? সে সময় ট্রাম্প এই প্রশ্নের জবাব নিজেই দিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘ঠিক আছে, আপনি এটা বলতে পারেন। এতে কোনো সমস্যা নেই।’

পরে রোববার এনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মামদানি বলেন, ‘আমি প্রশংসা করি যে আমাদের আলোচনায় আমরা মতভেদের জায়গাগুলো এড়িয়ে যাইনি। বৈঠককালে আমাদের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট ছিল।’

তিনি আরো বলেন, ‘আবাসন ব্যয়, শিশু যত্নের ব্যয় ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম- এগুলোই ছিল আমাদের প্রচারণার মূল বিষয় এবং প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠকেও আমরা বারবার এই বিষয়গুলোতেই ফিরে গেছি।’

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্কে ফেডারেল তহবিল কমানোর হুমকি ও শহরটিতে ন্যাশনাল গার্ড পাঠানোর পর ট্রাম্প নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে মামদানির ঐতিহাসিক বিজয়ের প্রশংসা করে বলেন, ‘তিনি (মামদানি) দারুণ কাজ করতে পারেন।’

ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা তাকে সাহায্য করব, যাতে সবার স্বপ্ন পূরণ হয় এবং একটি শক্তিশালী ও নিরাপদ নিউইয়র্ক গড়ে ওঠে।’

সূত্র : বাসস