রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করে এমন দেশগুলোর ওপর শুল্ক আরোপ করতে যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) জি-৭ভুক্ত দেশগুলোর অর্থমন্ত্রীরা এক ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে রাশিয়ার ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা ও ইউক্রেনে তাদের যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সহায়তা করছে এমন দেশগুলোর ওপর সম্ভাব্য শুল্ক আরোপের বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
কানাডার অর্থমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া-ফিলিপ শঁপান জি-৭ বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকটি ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য রাশিয়ার ওপর চাপ বৃদ্ধিতে আরো পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে আলোচনা করতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। জি-৭-এর বর্তমান সভাপতি কানাডা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জব্দ করা রুশ সম্পদ ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা খাতে ব্যবহারের জন্য আলোচনা দ্রুত শুরু করতে সম্মত হয়েছেন অর্থমন্ত্রীরা। রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে নানা অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা হয়। এর মধ্যে রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে সক্ষম করে এমন পণ্যের ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা ও শুল্কের মতো বাণিজ্য ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ভার্চুয়াল বৈঠকে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট অর্থমন্ত্রীদের বলেছিলেন, রাশিয়া থেকে তেল কেনে এমন দেশগুলোর ওপর শুল্ক আরোপে তাদেরও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যোগ দেয়া উচিত। বৈঠকের পর পৃথক এক বিবৃতিতে বেসেন্ট ও মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার এ কথা জানান।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। যাতে ভারত স্বল্প মূল্যে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি বন্ধ করতে বাধ্য হয়। ট্রাম্পের শুল্কের ফলে ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট শুল্ক ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে এবং দুই দেশের বাণিজ্য আলোচনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
তবে রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পরও ট্রাম্প চীনের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেননি। কারণ, ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে বর্তমানে সুক্ষ্ম বাণিজ্য সমঝোতা চলছে।
সূত্র : রয়টার্স