মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বুধবার (২৯ অক্টোবর) বলেছেন, জাপান-যুক্তরাষ্ট্র জোট চীনা সামরিক আগ্রাসন রোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী দেশটির ব্যয় লক্ষ্যমাত্রা ত্বরান্বিত করার পরিকল্পনা নিশ্চিত করেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জাপানের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির মধ্যে প্রথম মুখোমুখি বৈঠকের পর তিনি এই মন্তব্য করেছেন। দুই দেশের নেতাদের মধ্যে বৈঠকে নিরাপত্তার বিষয়টি প্রাধান্য পায়।
বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, চীনের সাথে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় দীর্ঘস্থায়ী শান্তিবাদী জাপান আরো শক্তিশালী সামরিক অবস্থান গ্রহণ করছে।
হেগসেথ টোকিওতে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমির সাথে এক বৈঠকে বলেন, ‘আঞ্চলিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় এবং জাপানের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমাদের দেশকে নিরাপদ রাখতে আমরা আমাদের জোটকে আরো শক্তিশালী করার জন্য উন্মুখ।’
এর আগে, গত সপ্তাহে চীনের কট্টর সমালোচক তাকাইচি বলেন, তার সরকার এই অর্থবছরে প্রতিরক্ষা খাতে জিডিপির দুই শতাংশ ব্যয়ের লক্ষ্য অর্জন করবে। নির্ধারিত সময়ের দুই বছর আগে এই লক্ষ্য অর্জিত হবে।
জাপানে প্রায় ৬০ হাজার মার্কিন সামরিক কর্মী থাকা সত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় টোকিও আরো বেশি ব্যয় করুক, যা জুনে ন্যাটো সদস্যদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জিডিপির পাঁচ শতাংশের সমকক্ষ হতে পারে। জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কোইজুমি বুধবার লক্ষ্যমাত্রা ত্বরান্বিত করার পরিকল্পনা নিশ্চিত করেন।
তিনি আরো বলেন, ‘জাপানের আশপাশের অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এমন পরিস্থিতির আলোকে আমি বিশ্বাস করি, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ক্ষমতা নিরলসভাবে প্রয়োগ করা গুরুত্বপূর্ণ।’
মঙ্গলবার টোকিওর কাছে নৌঘাঁটি ইয়োকোসুকায় মোতায়েন করা পারমাণবিক শক্তিচালিত বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জর্জ ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সাথে বক্তৃতাকালে, তাকাইচি কয়েক শত নাবিকের সমাবেশে তার জাতি নজিরবিহীন নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখোমুখি হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, তিনি জাপানের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা মৌলিকভাবে শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সূত্র : বাসস



