মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি উপলক্ষে চীনের ‘সুন্দর অনুষ্ঠানে’ জাপানের পরাজয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা তুলে ধরা উচিত ছিল।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) তিনি ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মনে করি এটি একটি সুন্দর অনুষ্ঠান ছিল। আমার মনে হয় অনুষ্ঠানটি খুবই মনোমুগ্ধকর ছিল।’
এর কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, বেইজিংয়ে একত্রিত হওয়া বিদেশী নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে পারেন।
তিনি বলেন, ‘গত রাতে আমি ভাষণটি দেখেছি। প্রেসিডেন্ট শি আমার একজন বন্ধু, কিন্তু আমার মনে হয়েছে সেই ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের কথা উল্লেখ করা উচিত ছিল। কারণ আমরা চীনকে অনেক সাহায্য করেছি।’
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যুদ্ধের ৮০তম বার্ষিকীকে তার সরকার ও ওয়াশিংটনের সাথে মতবিরোধ থাকা দেশগুলোর সাথে চীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক প্রদর্শনের একটি সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনের পাশে বসে তিয়েনআনমেন স্কয়ারে ৫০ হাজারেরও বেশি দর্শকের সামনে বক্তৃতা দেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রসহ সম্ভাব্য প্রতিপক্ষকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে তৈরি সৈন্য ও অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জামের প্রদর্শনী পর্যবেক্ষণ করেন।
১৯৩৭ সালে চীনে জাপানের আক্রমণের মধ্য দিয়ে যুদ্ধ বড় রূপ নেয়, যা পরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে নিয়ে যায়। ১৯৪৫ সালে জাপানের আত্মসমর্পণ এই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটায়। ১৯৪১ সালে যুক্তরাষ্ট্র চীনের সেনাদের সাহায্য করে এবং জাপানের পরাজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বর্তমান রাজনৈতিক লড়াইয়ে শি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে ‘চীনা জাতির মহান পুনরুজ্জীবন’-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে উল্লেখ করেন। বুধবার শি ‘বিদেশী সরকার ও আন্তর্জাতিক বন্ধুদের ধন্যবাদ জানান, যারা চীনের জনগণকে সমর্থন ও সহায়তা করেছেন।’ তবে তিনি যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেননি।
যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সম্পর্ক বর্তমানে উত্তেজনাপূর্ণ। ইউক্রেন থেকে দক্ষিণ চীন সাগর পর্যন্ত বিভিন্ন নিরাপত্তা ইস্যুতে দুই দেশের মতবিরোধ রয়েছে। পাশাপাশি তারা একে অপরের পণ্যের ওপর শুল্ক এড়ানোর জন্য একটি ব্যাপক বাণিজ্য চুক্তি নিয়েও আলোচনা করছে।
সূত্র : রয়টার্স