যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ‘ন্যায্য’ বাণিজ্য চুক্তিতে সম্মত কানাডা-মেক্সিকো

মেক্সিকো তাদের প্রায় ৮০ শতাংশ এবং কানাডা প্রায় ৭৫ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করে। ট্রাম্প ইতোমধ্যেই কানাডা ও মেক্সিকোর কিছু রফতানি পণ্যে শুল্ক আরোপ করেছেন, যেগুলো এই চুক্তির আওতায় পড়ে না।

নয়া দিগন্ত অনলাইন

কানাডা ও মেক্সিকোর নেতারা বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তাদের ত্রিপক্ষীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিকে সমর্থন করেছেন। পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক চাপের মুখে এটিকে আরো ‘ন্যায্য’ করতে চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তারা।

মেক্সিকো সিটি থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মেক্সিকোতে প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউমের সাথে আলোচনা শেষে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, তারা যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা চুক্তির (ইউএসএমসিএ) প্রতি ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।

তিনি আরো বলেন, এই চুক্তি উত্তর আমেরিকাকে বিশ্বের সেরা অর্থনৈতিক অঞ্চলে পরিণত করতে সহায়তা করেছে।

এদিকে কার্নির সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে শেইনবাউম বলেন, তিনি চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে ‘আশাবাদী’। তিনি আরো বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে ইউএসএমসিএ টিকে থাকবে।’

তবে ট্রাম্প চান, যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পখাতের জন্য সুবিধাজনক শর্তে চুক্তি নতুন করে করা হোক।

২০২০ সাল থেকে কার্যকর থাকা এই চুক্তি আগামী বছর পর্যালোচনা করা হবে। এটি মেক্সিকো ও কানাডার অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মেক্সিকো তাদের প্রায় ৮০ শতাংশ এবং কানাডা প্রায় ৭৫ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করে।

ট্রাম্প ইতোমধ্যেই কানাডা ও মেক্সিকোর কিছু রফতানি পণ্যে শুল্ক আরোপ করেছেন, যেগুলো এই চুক্তির আওতায় পড়ে না। পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ারি দেন, সীমান্ত পেরিয়ে অভিবাসন ও মাদক পাচার বন্ধ করতে না পারলে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ইউএসএমসিএ ১৯৯০-এর দশকে হওয়া উত্তর আমেরিকার মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির পরিবর্তে এসেছে। গত তিন দশকে এসব ধারাবাহিক চুক্তি উত্তর আমেরিকার অর্থনীতিকে আমূল বদলে দিয়েছে। এতে তিন দেশের মধ্যে গভীর পারস্পরিক নির্ভরশীলতা তৈরি হয়েছে।

তবে, ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ ইতোমধ্যেই আন্তঃসীমান্ত সরবরাহ ব্যবস্থাকে ব্যাহত করেছে। তিনি চুক্তির আওতার বাইরে থাকা কানাডীয় পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ এবং মেক্সিকান পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন।

এই শুল্ক কানাডার গুরুত্বপূর্ণ অটো, ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, ফলে কর্মসংস্থান কমে যাচ্ছে। একই অবস্থা তৈরি হয়েছে মেক্সিকোর অটো ও ইস্পাত শিল্পের ক্ষেত্রেও।

কার্নি বলেন, ওয়াশিংটন ইতোমধ্যেই ইউএসএমসিএ পর্যালোচনা করছে। এটি ‘একটি ভালো দিক’। এর ফলে শুল্ক ও স্থানীয় বিষয়বস্তুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত ‘ভালোভাবে ও সুচিন্তিতভাবে নেয়া যেতে পারে’।

সূত্র : বাসস