মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ফোনালাপে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে। ট্রাম্প ফোনালাপে কাতারে হামাস প্রতিনিধিদের ওপর ইসরাইলের হামলায় ‘তীব্র হতাশা’ প্রকাশ করেছেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
মার্কিন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সূত্রে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহুকে কাতারের রাজধানী দোহায় ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর রাজনৈতিক নেতাদের লক্ষ্যবস্তু করার সিদ্ধান্তটি বুদ্ধিমানের কাজ নয় বলে জানান ট্রাম্প। তিনি এই হামলার কথা শুনে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। কারণ হামলার ঘটনা ইসরাইল না বরং মার্কিন সেনাবাহিনী তাকে অবহিত করে এবং এটি গাজা যুদ্ধ অবসানের জন্য আলোচনার মধ্যস্থতাকারী অন্য মার্কিন মিত্রের ভূখণ্ডে আঘাত হানে। নেতানিয়াহু সে সময় বলেন, হামলা চালানোর জন্য তার কাছে স্বল্প সময় ছিল এবং তিনি সেই সুযোগটি নিয়েছিলেন।
কর্মকর্তারা আরো জানান, পরে উভয়ের মধ্যে আরেক দফা ফোনালাপ হয়, যা তুলনামূলকভাবে সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল। এ সময় ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে জিজ্ঞাসা করেন, আক্রমণ সফল হয়েছে কি-না। কিন্তু এর উত্তর নেতানিয়াহু নিশ্চিতভাবে দিতে পারেননি।
পরে অবশ্য হামাস নিশ্চিত করে যে তাদের নেতৃত্ব ইসরাইলের হামলা থেকে বেঁচে গেছে। যদিও হামাসের পাঁচ সদস্য ও কাতারের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত ট্রাম্প ক্রমেই নেতানিয়াহুর ওপর বিরক্ত হয়ে উঠছেন। কারণ, নেতানিয়াহু বারবার যুক্তরাষ্ট্রের মতামত ছাড়াই একতরফা আগ্রাসী পদক্ষেপ নিচ্ছেন, যা ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য–সংক্রান্ত লক্ষ্যগুলোর সাথে সাংঘর্ষিক।
এদিকে কাতার এই হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত কাজ’ এবং আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে নিন্দা জানায় এবং সতর্ক করে বলে, তারা ইসরাইলের ‘বেপরোয়া আচরণ’ সহ্য করবে না। গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ বন্ধের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের সাথে উপসাগরীয় এই রাষ্ট্রটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে আসছে।
সূত্র : আনাদোলু অ্যাজেন্সি