চীনের সাথে সামরিক যোগাযোগ পুনরায় চালু করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

হেগসেথ বলেন, ‘আমি এইমাত্র প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে কথা বলেছি। আমরা একমত হয়েছি, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক কখনো এতো ভালো ছিল না।’

নয়া দিগন্ত অনলাইন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং |সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠকের পর বেইজিংয়ের সাথে সামরিক যোগাযোগ পুনরায় চালু করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ শনিবার (১ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন।

বার্তাসংস্থা এএফপি বলছে, চীনের সাথে আলোচনায় দুই দেশ সামরিক যোগাযোগ পুনরায় চালু করার বিষয়ে একমত হয়েছে। যা সংঘাত নিরসন ও উত্তেজনা প্রশমনে সাহায্য করবে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় শি জিনপিং ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলোচনার একদিন পর, মালয়েশিয়ায় একটি আঞ্চলিক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে হেগসেথ চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডং জুনের সাথে বৈঠক করেন।

হেগসেথ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে দেয়া এক পোস্টে বলেন, ‘আমি এইমাত্র প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে কথা বলেছি। আমরা একমত হয়েছি, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক কখনো এতো ভালো ছিল না।’

তিনি আরো বলেন, তাদের মুখোমুখি বৈঠকের পর তিনি ডং-এর সাথে কথা বলেছেন।

তিনি ‘শক্তি, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ইতিবাচক সম্পর্কের’ পথের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও আমি একমত হয়েছি যে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সুসম্পর্ক আমাদের দুটি মহান ও শক্তিশালী দেশের জন্য সর্বোত্তম পথ।’

পেন্টাগন প্রধান বলেন, ডং ও তিনি ‘সম্মত হয়েছেন, যেকোনো উদ্ভূত সমস্যার ক্ষেত্রে সংঘাত প্রতিরোধ ও উত্তেজনা কমাতে সামরিক যোগাযোগ চ্যানেল গড়ে তোলা উচিত।’

এই বিষয়ে আরো বৈঠক শিগগিরই হবে বলে জানান হেগসেথ। তবে বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত বৈঠকের বিষয়ে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ডং হেগসেথকে জানিয়েছেন, দুই দেশকে ‘নীতিগত পর্যায়ে সংলাপ জোরদার করে পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধি ও অনিশ্চয়তা দূর করতে হবে’ এবং ‘সমতা, শ্রদ্ধা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও স্থিতিশীল ইতিবাচক গতিশীলতা’র ওপর ভিত্তি করে দ্বিপক্ষীয় সামরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।

সূত্র : বাসস