ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ব্যবহৃত হতে পারে এমন সামরিক রফতানির ওপর শনিবার (২আগস্ট) নিষেধাজ্ঞা পুনর্ব্যক্ত করেছে কানাডা। এর আগে ২৯ জুলাইয়ের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, কানাডা থেকে এখনো ইসরাইলে অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিতা আনন্দ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘কানাডা কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও একই অবস্থানে থাকবে। গাজায় ব্যবহারের সম্ভাবনা আছে এমন সামগ্রী রফতানির জন্য ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে কোনো নতুন লাইসেন্স অনুমোদন করা হয়নি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ২০২৪ সালে গাজায় ব্যবহৃত হতে পারে এমন সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহারের জন্য বিদ্যমান সব অনুমতি স্থগিত করেছিলাম, এবং সেগুলো আজও স্থগিত রয়েছে।’
২৯ জুলাই প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে প্রতিবেদনের বেশ কয়েকটি দাবি বিভ্রান্তিকর ও উল্লেখযোগ্যভাবে তথ্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।’
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবেদনে যেগুলোকে গুলি বলা হয়েছে, সেগুলো আসলে পেইন্টবল ধাঁচের। এগুলোর সাথে এমন যন্ত্রও ছিল, যা আগ্নেয়াস্ত্রকে সাধারণ গোলাবারুদ ব্যবহারে অকার্যকর করে তোলে। এগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের উপযোগী নয়। যদি কেউ এমন কিছু ব্যবহারের চেষ্টা করে, তাহলেও তার জন্য লাইসেন্স লাগবে, যা কখনোই দেয়া হতো না।’
২৯ জুলাইয়ের ওই প্রতিবেদনে ওয়ার্ল্ড বিয়ন্ড ওয়ার, প্যালেস্টাইনিয়ান ইয়ুথ মুভমেন্ট, কানাডিয়ানস ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিস ইন দ্য মিডল ইস্ট এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট জিউইশ ভয়েসেস- এই চার এনজিওর গবেষকরা ইসরাইলের ট্যাক্স কর্তৃপক্ষের তথ্য প্রকাশ করেন, যেখানে দেখা গেছে, সামরিক অস্ত্রের যন্ত্রাংশ ও গোলাবারুদ হিসেবে লেবেলযুক্ত কানাডিয়ান পণ্যগুলো ইসরাইলে এখনো প্রবেশ করছে।
মঙ্গলবার অটোয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিনি যুব আন্দোলনের ইয়ারা শোফানি বলেন, এই অনুসন্ধানগুলো সরকারের অস্বীকৃতি সত্ত্বেও ইসরাইলের প্রতি কানাডার চলমান বস্তুগত সমর্থন প্রকাশ করে।
সূত্র : আনাদোলু অ্যাজেন্সি