সুদানে আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় নিহত ৩০০

আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ সুদানের নিয়ন্ত্রণের জন্য ২০২৩ সাল থেকে দেশটির সেনাবাহিনীর সাথে লড়াই করে আসছে। এ সংঘাতে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
আরএসএফ চিকিৎসা সরঞ্জাম, স্থানীয় বাজার ও আল-নাহুদ হাসপাতালও লুট করেছে
আরএসএফ চিকিৎসা সরঞ্জাম, স্থানীয় বাজার ও আল-নাহুদ হাসপাতালও লুট করেছে |সংগৃহীত

সুদানের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন শনিবার জানিয়েছে, পশ্চিম কর্দোফান রাজ্যের আল-নাহুদ শহরে আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) হামলায় কমপক্ষে ৩০০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২১টি শিশু ও ১৫ জন নারী রয়েছে।

একটি সরকারি বিবৃতিতে মানবাধিকার কমিশন আল-নাহুদে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে আরএসএফের সংঘটিত লঙ্ঘনের নিন্দা করেছে, যার মধ্যে রয়েছে সরাসরি লক্ষ্যবস্তু, মৃত্যুদণ্ড ও হত্যা।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, আরএসএফ যোদ্ধারা শহরটি অব্যাহতভাবে অবরোধ করে রাখার কারণে এবং বাসিন্দাদের পালিয়ে যেতে বা সাহায্য পেতে বাধা দেয়ার কারণে নিহতের সংখ্যা প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

তুর্কী বার্তাসংস্থা আনাদোলু অ্যাজেন্সি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শুক্রবার সুদানিজ ডক্টরস নেটওয়ার্ক একই হামলায় ১০০ জনেরও বেশি মানুষের নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে।

কমিশনের মতে, আরএসএফ চিকিৎসা সরঞ্জাম, স্থানীয় বাজার ও আল-নাহুদ হাসপাতালও লুট করেছে।

সংঘাতপূর্ণ অঞ্চল থেকে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে বেরিয়ে আসার অনুমতি নিশ্চিত করার জন্য সব পক্ষকে চাপ দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

শুক্রবার আরএসএফ দাবি করেছিল, তারা আল-নাহুদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং সরকারি বাহিনীর সাথে সংঘর্ষের পর সুদানের সেনাবাহিনীর ১৮তম পদাতিক ডিভিশনের সদর দফতর দখল করেছে।

আরএসএফ সুদানের নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৫ এপ্রিল ২০২৩ সাল থেকে দেশটির সেনাবাহিনীর সাথে লড়াই করে আসছে। এ সংঘাতের ফলে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকটগুলোর মধ্যে একটি।

জাতিসঙ্ঘ ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতে, এতে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং ১.৫ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তবে মার্কিন বিশেষজ্ঞদের মতে, নিহতের সংখ্যা প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার।