পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ঘানার প্রধান বিচারপতিকে পদের অপব্যবহারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।
আক্রা থেকে এএফপি জানিয়েছে, ৬১ বছর বয়সী গার্ট্রুড আরাবা এসাবা স্যাকি টোরকোনো ২০২৩ সালে ঘানার উচ্চ আদালতের প্রধান বিচাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়া তৃতীয় নারী। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর তাকে তার পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
দেশটির প্রেসিডেন্ট জন মাহামা অভিযোগ তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের আরেকজন বিচারপতিকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিশন গঠন করেন। ওই অভিযোগের মধ্যে বিচারিক নথি জালিয়াতি ও সরকারি তহবিল অপব্যবহারের অভিযোগও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
সোমবার প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, কমিশন তদন্তে অভিযোগগুলোর ভিত্তি প্রমাণিত হয়েছে এবং তাকে পদ থেকে অপসারণের সুপারিশ করেছে।
এতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জন মাহামা তাৎক্ষণিকভাবে প্রধান বিচারপতিকে পদ থেকে অপসারণ করেছেন। তিনি হলেন প্রথম কর্মরত প্রধান বিচারপতি যার বিরুদ্ধে তদন্তের পর বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণকারী মাহামা দুর্নীতি দমনের অঙ্গীকার করেছেন। টরকোনুর বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি অভিযোগ আনা হবে কি-না তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আলফ্রেড টুয়া-ইয়েবোয়া, মাহামার প্রধান বিচারপতিকে অপসারণের ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং বলেছেন, এটি একটি ‘বিপজ্জনক নজির’ স্থাপন করেছে। তিনি বলেন, ‘যে আবেদনটি আমি পড়েছি, তা তাকে অপসারণের যথাযথ ভিত্তি দেখায়নি। এমন পদক্ষেপের জন্য কেবলমাত্র খুব গুরুতর অপরাধই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, মরা আবেদনপত্রে যা পড়েছি তা যদি প্রয়োজনীয় মানদণ্ড হয়, তাহলে আমি বিচার ব্যবস্থার ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে আমাদের জন্য সমস্যার কারণ হতে পারে।’
সূত্র : বাসস