নাইজেরিয়ার লেখক ও নাট্যকার ওলে সোয়িঙ্কার ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জয়ী প্রথম আফ্রিকান লেখক। ১৯৮৬ সালে তিনি নোবেল পুরস্কার পান।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) লাগোসের কঙ্গিস হার্ভেস্ট গ্যালারিতে বক্তৃতা দিতে গিয়ে সোয়িঙ্কা এ তথ্য জানিয়েছেন। এ সময় তিনি ২৩ অক্টোবর স্থানীয় মার্কিন কনস্যুলেট থেকে পাঠানো একটি নোটিশের কিছু অংশ পড়ে শোনান। নোটিশে তাকে তার পাসপোর্ট নিয়ে কনস্যুলেটে উপস্থিত হতে বলা হয়, যাতে তার ভিসা বাতিল করা যায়।
স্বভাবসুলভ কৌতুক করে তিনি ওই নোটিশকে ‘একটি অদ্ভুত প্রেমপত্র’ বলে অভিহিত করেন। নোটিশে বলা হয়, ‘আমরা আপনাকে অনুরোধ করছি, আপনার ভিসাটি সশরীরে বাতিল করার জন্য মার্কিন কনস্যুলেট জেনারেল লাগোসে নিয়ে আসুন। অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময় নির্ধারণ করার আগে ইমেল করুন।’
দর্শকদের সাথে মজা করে লেখক বলেন, তিনি এই অনুরোধটি পূরণ করার সময় পাননি।
সোয়েঙ্কার ভিসা গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময় ইস্যু করা হয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয় মেয়াদ শুরুর পর থেকেই ট্রাম্প অভিবাসনবিরোধী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন এবং তার প্রশাসন প্রেসিডেন্টের নীতির সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ব্যক্তিদের ভিসা ও গ্রিন কার্ড বাতিল করেছে।
স্পষ্টভাষী হিসেবে খ্যাত সোয়িঙ্কা তার জন্মভূমি নাইজেরিয়ার অভ্যন্তরীণ রাজনীতির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিষয়েও বিভিন্ন সময়ে কথা বলেছেন। ২০১৭ সালে তিনি দ্য আটলান্টিক ম্যাগাজিনকে বলেছিলেন, ২০১৬ সালে ট্রাম্পের প্রথম নির্বাচনের প্রতিবাদে তিনি তার মার্কিন গ্রিন কার্ড নষ্ট করে ফেলেছেন।
কিন্তু সোয়েঙ্কা প্রথম নোবেল বিজয়ী নন, যার মার্কিন ভিসা ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফিরে আসার পর বাতিল করা হয়েছে। কোস্টারিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ১৯৮৭ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অস্কার আরিয়াসেরও এপ্রিল মাসে ভিসা বাতিল করা হয়েছে।
সূত্র : আল জাজিরা



