সুদানের পশ্চিম দারফুর অঞ্চলের আল-এল-ফাশার শহর দখলের সময় আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফের হাতে দেড় হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক।
সংস্থাটি জানিয়েছে, দেশটির নিয়ন্ত্রণের জন্য সুদানের সেনাবাহিনীর সাথে লড়াই করা আরএসএফ গত তিন দিনে কমপক্ষে দেড় হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। বেসামরিক নাগরিকরা সে সময় অবরুদ্ধ শহর থেকে পালানোর চেষ্টা করছিল। দেশটির গৃহযুদ্ধের উপর নজরদারিকারী সংস্থাটি একে ‘একটি সত্যিকারের গণহত্যা’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘আজ বিশ্ব যে গণহত্যা প্রত্যক্ষ করছে তা দেড় বছরেরও বেশি সময় আগে আল-ফাশারে ঘটে যাওয়া ঘটনারই একটি ধারাবাহিকতা। যখন বোমা হামলা, অনাহার ও বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ১৪ হাজারেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছিল। হত্যা ও নির্মূলের একটি ইচ্ছাকৃত ও পদ্ধতিগত অভিযানের অংশ হিসেবে আক্রমণগুলো চালানো হচ্ছে।‘
ইয়েলের হিউম্যানিটেরিয়ান রিসার্চ ল্যাব (এইচআরএল) থেকে কৌশলগত এই এলাকায় গণহত্যার নতুন প্রমাণ উঠে আসার পর এই বিবৃতিটি এসেছে। এইচআরএলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরএসএফ প্রবেশের পর আল-ফাশারের স্যাটেলাইট ছবিতে মানবদেহের আকারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বস্তুর স্তুপ এবং বিশাল অংশজুড়ে মাটিতে লালচে রং দেখা গেছে।
আরএসএফ ২০২৩ সাল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সাথে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ নিহত এবং এক কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। গত ১৭ মাস ধরে অবরোধের পর রোববার দারফুরে সেনাবাহিনীর শেষ ঘাঁটি আল-ফাশার দখল করে নেয় আরএসএফ।
সূত্র : আল জাজিরা



