পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বেনিনের প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিস ট্যালন বলেছেন, তার সরকারের বিরুদ্ধে ঘটানো অভ্যুত্থানচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সরকার ও দেশটির সশস্ত্র বাহিনী এ প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে। অভ্যুত্থানে জড়িতদের শাস্তি দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেছেন।
এর প্রায় ১২ ঘণ্টা আগে দেশটির বৃহত্তম শহর কোটোনুতে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায় এবং কয়েকজন সেনা সদস্য রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে গিয়ে দাবি করে যে তারা ট্যালনকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করেছে।
ট্যালন বলেন, সরকারের প্রতি অনুগত বাহিনীর দ্রুত তৎপরতায় এই দুঃসাহসিকদের প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে। এই বিশ্বাসঘাতকতার জন্য শাস্তি পেতেই হবে।
এই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা অঞ্চটিতে গণতান্ত্রিক শাসনের জন্য সর্বশেষ হুমকি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সামরিক বাহিনী বেনিনের প্রতিবেশী দেশ নাইজার ও বুরকিনা ফাসোর পাশাপাশি মালি, গিনি এবং গত মাসে গিনি-বিসাউতে ক্ষমতা দখল করেছে।
সামরিক ও নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে বার্তাসংস্থা এএফপি জানায়, রোববার সন্ধ্যায় আনুমানিক ১২ জন সৈন্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা এমন সময়ে ঘটল, যখন আসন্ন এপ্রিলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বেনিন। ওই নির্বাচনেই ২০১৬ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট ট্যালনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে উপস্থিত সেনারা নিজেদেরকে মিলিটারি কমিটি ফর রিফাউন্ডেশন (সিএমআর)-এর অংশ বলে দাবি করে। তারা এক বিবৃতিতে বলে, বেনিনের উত্তরাঞ্চলের অবনতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং ‘আমাদের শহিদ সহযোদ্ধাদের প্রতি অবহেলা ও উদাসীনতা’ তাদেরকে এ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে।
সূত্র: আল জাজিরা



