শাদে শরণার্থী শিবিরে কলেরার প্রাদুর্ভাবে ৬৮ জনের মৃত্যু

শাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ পরিচালক বলেন, ‘ডগুই শরণার্থী শিবিরে প্রথম কলেরা রোগী রেকর্ড হওয়ার পর থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত মোট এক হাজার ১৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৬৮ জন মারা গেছে।’

নয়া দিগন্ত অনলাইন

মধ্য আফ্রিকার দেশ শাদে সুদানের শরণার্থীদের শিবিরে জুলাইয়ের শেষের দিকে কলেরা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। শাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছে।

২০২৩ সালের এপ্রিলে সুদানের সেনাবাহিনী ও প্যারামিলিটারি র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর মধ্যে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের পর থেকে পালিয়ে আসা আট লাখ ৫০ হাজারের বেশি সুদানী শরণার্থীর আবাসস্থল শাদ।

এই শরণার্থীদের অনেকেই এমন শিবিরে আটকা পড়ে আছেন যেখানে নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ নিতান্তই অপ্রতুল। জাতিসঙ্ঘ সোমবার পানিবাহিত রোগটির দ্রুত বিস্তারের জন্য এই ঘাটতিকে দায়ী করেছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ পরিচালক তাদজাদিন মাহামাত আল্লামামিন বলেন, ‘ডগুই শরণার্থী শিবিরে প্রথম কলেরা রোগী রেকর্ড হওয়ার পর থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত মোট এক হাজার ১৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৬৮ জন মারা গেছে।’

কলেরা হলো একটি অন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ, যা দূষিত খাবার ও পানিতে ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি তীব্র ডায়রিয়া, বমি ও পেশীতে টান সৃষ্টি করে।

কলেরা চিকিৎসা না করা হলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রোগী মারা যেতে পারে। যদিও সাধারণ খাবার স্যালাইন বা আরো গুরুতর ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে এর চিকিৎসা করা যেতে পারে।

ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্সের মতে, ২০২৩ সাল থেকে সুদান কলেরায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। এই বছর এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

সূত্র : বাসস