লিবিয়ার ত্রিপোলিতে অবস্থিত জাতিসঙ্ঘ-স্বীকৃত সরকার একটি শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠীর সাথে প্রাথমিক চুক্তিতে পৌঁছেছে। চুক্তিটি কয়েক মাসের উত্তেজনার অবসান ঘটাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শনিবার একজন সরকারি উপদেষ্টা ও স্থানীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। একই সূত্র জানিয়েছে, তুরস্কের সহায়তায় সরকার ও রাদা ফোর্সের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
ত্রিপোলি থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
প্রেসিডেন্ট পরিষদের অন্তর্বর্তীকালীন সংস্থার প্রধানের উপদেষ্টা জিয়াদ দেগেম বলেছেন, চুক্তির বিস্তারিত ‘পরবর্তী সময়ে জনসাধারণের কাছে ঘোষণা করা হবে।’
রাদা বা সরকার কেউই এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
তবে লিবিয়ার সম্প্রচারক আল-আহরার শনিবার এক্স-এ এক ভিডিও পোস্ট করেছেন। ওই ভিডিওতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাহিনী রাদা নিয়ন্ত্রিত একটি বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে দেখা যাচ্ছে।
২০১১ সালে ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহের পর দীর্ঘদিনের নেতা মোয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর বছরের পর বছর ধরে চলা অস্থিরতার পর উত্তর আফ্রিকার এই দেশটি এখনো বিভক্ত ও অস্থিতিশীল।
পশ্চিমাঞ্চলের জাতিসঙ্ঘ-স্বীকৃত সরকার এবং সামরিক কমান্ডার খলিফা হাফতার সমর্থিত পূর্বাঞ্চলীয় প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে দেশটি এখনো বিভক্ত।
মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ত্রিপোলিতে সরকারের অনুগত বাহিনী এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সঙ্ঘর্ষ হয়। এর মধ্যে রয়েছে রাদা ফোর্স, যা রাজধানীর পূর্ব ও মিতিগা বিমানবন্দর, সেইসাথে কারাগার ও আটক কেন্দ্রগুলো নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।
আল-আহরাহ-এর বরাত দিয়ে গোষ্ঠীর একটি সূত্রের মতে, দুই পক্ষ পশ্চিমে মিতিগাসহ ‘চারটি বিমানবন্দর পরিচালনা ও সুরক্ষার জন্য একটি নিরপেক্ষ ও ঐক্যবদ্ধ বাহিনী’ গঠনে সম্মত হয়েছে।
২০১১ সাল থেকে রাদা নিয়ন্ত্রিত বিমানবন্দরটিই লিবিয়ার রাজধানীতে বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা করার একমাত্র বিমানবন্দর।
আল-আহরার অনুসারে, রাদা ফোর্স পরিচালিত কারাগার ও আটক কেন্দ্রগুলো অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের অধীনে আসবে।
চ্যানেলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেদেম তুরস্ককে ‘তার ব্যতিক্রমী প্রচেষ্টার জন্য’ এবং লিবিয়ায় জাতিসঙ্ঘ মিশন (ইউএনএসএমআইএল)-কে ‘প্রয়োজনীয় এবং সিদ্ধান্তমূলক’ মধ্যস্থতার জন্য ধন্যবাদ জানান।
সূত্র : এএফপি/বাসস



