মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছেন, নাইজেরিয়ায় সামরিক বাহিনী পাঠানো হতে পারে। বিমান হামলা চালিয়ে খ্রিস্টানদের ওপর বৃহৎ আকারের গণহত্যা রোধ করার জন্য দেশটি ওই পদক্ষেপের কথা ভাবছে।
নাইজেরিয়ায় স্থল, সেনা বা বিমান হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা; রোববার সাংবাদিকদের এরকম এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, সম্ভবনা আছে। আমার ভাবনায় অনেক কিছু আছে। তারা নাইজেরিয়ায় নজিরবিহীন সংখ্যক খ্রিস্টানকে হত্যা করছে।’
ট্রাম্প আরো বলেন, আমরা তা হতে দেব না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট শনিবার হুমকি দিয়েছেন, খ্রিস্টানদের হত্যা দমন করতে ব্যর্থ হলে তিনি নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেবেন।
মার্কিন সরকার নাইজেরিয়াকে ‘বিশেষ উদ্বেগের দেশ’-এর তালিকায় ফিরিয়ে আনার একদিন পর সামরিক পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি-নাইজেরিয়া ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন করেছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে, ট্রাম্পের কিছু মিত্র বারবার নাইজেরিয়ায় ‘খ্রিস্টানদের ওপর গণহত্যার’ সমালোচনা করেছে। যদিও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর পরিসংখ্যান দেখায়, ২০০৯ সাল থেকে নাইজেরিয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সহিংসতার ফলে ৫২ হাজারেরও বেশি বেসামরিক লোক মারা গেছে। মৃতদের মধ্যে প্রায় সমানভাবে মুসলিম এবং খ্রিস্টান ছিল।
আফ্রিকার সর্বাধিক জনবহুল দেশ নাইজেরিয়া দু’টি ভাগে বিভক্ত, উত্তর ভাগে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং দক্ষিণে মূলত খ্রিস্টানরাই বসবাস করে।
সূত্র : পার্সটুডে
 


