সুদানে ত্রাণবাহী গাড়ি বহরে হামলা, নিহত ৫

ওই হামলায় গাড়ি বহরের পাঁচজন সদস্য নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এছাড়া একাধিক ট্রাক পুড়ে গেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ মানবিক সরবরাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
সংগৃহীত

উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানের অবরুদ্ধ শহর আল-ফাশারের দিকে যাওয়ার পথে একটি ত্রাণবাহী গাড়ি বহরের ওপর হামলায় পাঁচজন সাহায্যকর্মী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩ জুন) জাতিসঙ্ঘ এ তথ্য জানিয়েছে।

এএফপি জানিয়েছে, জাতিসঙ্ঘের সংস্থাগুলো এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, সোমবার উত্তর দারফুর রাজ্যের আল-কোমা গ্রামের কাছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ও ইউনিসেফের ১৫টি ট্রাকের বহরের ওপর হামলা চালানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলায় গাড়ি বহরের পাঁচজন সদস্য নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এছাড়া একাধিক ট্রাক পুড়ে গেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ মানবিক সরবরাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সেনাবাহিনীর সাথে নিয়মিত যুদ্ধরত আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) নিয়ন্ত্রিত একটি এলাকায় সংঘটিত হামলার পেছনে কারা জড়িত জাতিসঙ্ঘের সংস্থাগুলো তা চিহ্নিত করতে পারেনি।

যুদ্ধরত দুই পক্ষ যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ক্ষুধাকে ব্যবহার এবং সাহায্য লুটপাট বা বাধা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে, তারা এ হামলার জন্য পরস্পরকে দোষারোপ করেছে।

জাতিসঙ্ঘের সংস্থাগুলো জানিয়েছে, যুদ্ধকালীন রাজধানী পোর্ট সুদান থেকে ত্রাণ পরিবহনকারী কনভয়টি প্রায় ১৮০০ কিলোমিটার পূর্বে ত্রাণ সরবরাহ করছিল এবং আল-ফাশারে ত্রাণবাহী গাড়ি নিয়ে যাত্রার পরিকল্পনা করছিল তখনই এ হামলার ঘটনা ঘটে।

তারা আরো জানিয়েছে, স্থলভাগে থাকা পক্ষগুলোকে ট্রাকগুলোর অবস্থান সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছিল।

এদিকে সেনা-সমর্থিত সরকার জানিয়েছে, আরএসএফের ড্রোন সোমবার ক্ষতিগ্রস্ত ট্রাকগুলো টার্গেট করেছিল।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আফ্রিকার তৃতীয় বৃহত্তম দেশটি জাতিসঙ্ঘের মতে, বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকটে জর্জরিত। সেখানে শুধুমাত্র উত্তর দারফুর রাজ্যেই দশ লাখেরও বেশি মানুষ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। এ যুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ নিহত হয়েছে। এক কোটি ৩০ লাখ মানুষ উচ্ছেদ হয়েছে এবং ভয়াবহ ক্ষুধা ও বাস্তুচ্যুতির সংকট তৈরি হয়েছে।

সূত্র : বাসস