লেবাননে ১০ বছর আটক থাকার পর মুক্তি পেলেন গাদ্দাফির ছেলে হান্নিবাল

বর্তমানে ৪৯ বছর বয়সী হান্নিবাল গাদ্দাফিকে ২০১৫ সালে আটক করে লেবানন।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
হান্নিবাল গাদ্দাফি
হান্নিবাল গাদ্দাফি |ফাইল ছবি

লিবিয়ার ক্ষমতাচ্যুত শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির ছোট ছেলে হান্নিবাল গাদ্দাফিকে প্রায় ১০ বছর বিনাবিচারে আটক রাখার পর মুক্তি দিয়েছে লেবানন কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (১০ নভেম্বর) নয় লাখ ডলারের বন্ডে জামিনে মুক্তি দেয়া হয় তাকে।

বর্তমানে ৪৯ বছর বয়সী হান্নিবাল গাদ্দাফিকে ২০১৫ সালে আটক করে লেবানন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ১৯৭৮ সালে নিখোঁজ হওয়া লেবাননের প্রভাবশালী শিয়া আলেম মুসা আল-সদরের নিখোঁজ সংক্রান্ত তথ্য গোপন করেছিলেন। যদিও সে সময় হান্নিবালের বয়স ছিল মাত্র দুই বছর। এমনকি ঊর্ধ্বতন কোনো পদেও ছিলেন না।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো ওই অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল।

মুয়াম্মার গাদ্দাফি ২০১১ সালে বিদ্রোহীদের হাতে ক্ষমতাচ্যুত ও নিহত হওয়ার পর হান্নিবাল গাদ্দাফি সিরিয়ায় পালিয়ে যান এবং তার স্ত্রী এলাইন স্কাফকে নিয়ে ওমানে গৃহবন্দী অবস্থায় ছিলেন।

২০১৫ সালে লেবাননের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী হান্নিবালকে অপহরণ করে। কিছুদিন পর তারা তাকে ছেড়ে দিলে লেবানন কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে।

হান্নিবাল গাদ্দাফির আইনজীবী লরাঁ বায়ন জানিয়েছেন, ’গাদ্দাফির জামিনে নয় লাখ ডলার জামানত প্রদান করা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, অক্টোবরে একজন বিচারক তার মুক্তির জন্য এক কোটি ১০ লাখ ডলার জামানত ধার্য করেছিলেন কিন্তু গত সপ্তাহে তার আইনজীবীদের আপিলের পর তা কমানো হয়।’

হান্নিবালের আইনজীবী আরো বলেন, “হান্নিবাল গাদ্দাফির জন্য এটি ১০ বছর ধরে চলা এক দুঃস্বপ্নের অবসান। তিনি লেবানন ছেড়ে একটি ‘গোপন’ গন্তব্যে যাবেন।”

লরাঁ বায়ন বলেন, ‘যদি গাদ্দাফিকে লেবাননে ১০ বছর ধরে বিনাবিচারে আটক রাখা সম্ভব হয়, তবে এর মানে হলো লেবাননের বিচারব্যবস্থা স্বাধীন ছিল না।’

লিবিয়া ও লেবাননের মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলমান বিরোধের অন্যতম কারণ ১৯৭৮ সালে মুসা আল-সদরের নিখোঁজের ঘটনা।

সূত্র : বিবিসি