উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোর অন্যতম প্রাচীন ও পর্যটন শহর ফেজে পাশপাশি দুটি ভবন ধসে অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো কমপক্ষে ১৬ জন।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এমএপি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার গভীর রাতে শহরের পশ্চিমে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা আল-মুস্তাকবাল পাড়ায় পাশপাশি অবস্থিত দুটি চারতলা ভবন ধসে পড়ে।
ফেজ প্রিফেকচারের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভবনগুলোতে মোট আটটি পরিবার বাস করত। ভবন ধসের খবর পাওয়ার পরপরই স্থানীয় প্রশাসন, নিরাপত্তা সংস্থা এবং বেসামরিক সুরক্ষা শাখার সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান শুরু করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সম্প্রচার সংস্থা এসএনআরটি জানিয়েছে, ভবনগুলোতে কয়েকদিন আগেই ফাটল দেখা দেয়। তবু স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এসএনআরটির প্রতিবেদনে ভবন ধসের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির তথ্য স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি এবং দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।
একটি ভবন ধসে স্ত্রী ও তিন সন্তানকে হারিয়ে বেঁচে যাওয়া এক ব্যক্তি বুধবার ভোরে স্থানীয় মেডি১ টিভিকে বলেন, উদ্ধারকারীরা একজনের লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন, কিন্তু তিনি এখনও অন্যদের জন্য অপেক্ষা করছেন।
অষ্টম শতাব্দীতে গড়ে ওঠা সাবেক রাজধানী এবং দেশের তৃতীয় সর্বাধিক জনবহুল শহর ফেজে, দুই মাস আগে অবনতিশীল জীবনযাত্রার পরিস্থিতি এবং দুর্বল জনসেবা প্রদানের অভিযোগে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন নাগরিকরা।
এরআগে ২০১০ সালে ঐতিহাসিক উত্তরাঞ্চলীয় শহর মেকনেসে একটি মিনার ধসের ঘটনায় ৪১ জন নিহত হন। দেশটির গৃহায়ন সচিব আদিব বেন ইব্রাহিম জানুয়ারিতে বলেছিলেন, সারা দেশে প্রায় ৩৮ হাজার ৮০০ ভবন ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স



