অভ্যাস বদলালেই বদলাবে মস্তিষ্ক : বিজ্ঞানীদের নতুন গবেষণায় আশার আলো

শেষ পর্যন্ত, জীবন মানেই তো প্রবাহ। ছন্দহীন জীবনে যেমন বদ্ধ পানির মতো স্থবিরতা আসে, তেমনি রুটিনহীনতা ডেকে আনে মগজের অকাল মৃত্যু। তাই আজই হোক শুরু। প্রথম পদক্ষেপটা নিন। আপনি যেখানেই থাকুন...

সৈয়দ মূসা রেজা
অভ্যাস বদলালেই বদলাবে মস্তিষ্ক!
অভ্যাস বদলালেই বদলাবে মস্তিষ্ক! |প্রতীকী ছবি

‘বেকার থাকার চেয়ে বেগার খাটা ভালো’—এই বাংলা প্রবাদটা আমরা বহুবার শুনেছি। কিন্তু আজকের দ্রুত বদলে যাওয়া জীবনে, এই কথাটার গুরুত্ব যেন আরো বেশি করে অনুভব করছি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কোনো কর্মসূচি নেই, নেই কোনো দৈনন্দিন রুটিন—এমন জীবনযাপন এখন অনেকেই বেছে নিচ্ছেন। কেউ ইচ্ছাকৃত, কেউ অবচেতনভাবেই। অথচ এই ‘অকাজের বিশ্রাম’ই হয়ে উঠছে মস্তিষ্কের জন্য এক নিরব ঘাতক। অলসতা এখন শুধু সময় নষ্ট নয়; বরং মগজ দুর্বল করার প্রতিযোগিতার নতুন নাম। বাংলাদেশের শহর-গ্রামে এখন এমন প্রবীণ মানুষ কম নন, যারা অবসরজীবনে এসে ক্রমশ স্মৃতিশক্তি হারাচ্ছেন, পরিচিত মানুষকে চিনতে পারছেন না, এমনকি নিজের নামও মনে রাখতে পারছেন না। অথচ এই পরিস্থিতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর একটা উপায় আছে—দৈনন্দিন অভ্যাস বদলানো। আর ঠিক এটাই আজকের বৈজ্ঞানিক গবেষণার আলোচ্য বিষয়।

ফিলিস জোন্স তার মায়ের চোখে চোখ রেখেই সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলেন—এই চক্রটা ভাঙতেই হবে।

টাইম সাময়িকীতে অ্যালিস পার্ক এ প্রসঙ্গে আরো লিখেছেন, আট বছর ধরে তিনি তার মাকে দেখেছেন ধীরে ধীরে স্মৃতিভ্রষ্ট হতে। শুধু তার মা নয়, তারও আগে এই একই দুর্দশায় কেটেছে তার নানির দিনগুলোও।

ডিমেনশিয়ার এমন দুঃসহ বাস্তবতা কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা তার জীবনের রঙটাই বদলে দিয়েছিল। তাই যখন সুযোগ এলো এক গবেষণায় অংশ নেয়ার—যার উদ্দেশ্য ছিল স্মৃতিভ্রংশ ঠেকাতে দৈনন্দিন অভ্যাসের প্রভাব খতিয়ে দেখা—তিনি দেরি না করে অংশ নিলেন। আজ তিনি নিজেই বলেন, ‘এটাই ছিল সেই অন্ধকার গর্ত থেকে বেরিয়ে আসার প্রথম পদক্ষেপ।’

এ গল্প শুধু ফিলিস জোন্সের নয়। এ গল্প হাজারো প্রবীণ মানুষের, যারা বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্মৃতির ক্ষয় মেনে নিতে নারাজ। স্মুতিশক্তিকে দুর্বল হলে দিতে চান না। তাদের কাহিনী। আর এ গল্প নতুন এক বিজ্ঞানভিত্তিক প্রমাণের, যা বলছে—শুধু অভ্যাস বদলালেই আমাদের মগজকে অনেক বছর পর্যন্ত ‘তরুণ’ রাখা সম্ভব। অর্থাৎ বয়স বাড়বে কিন্তু মস্তিষ্ক বুড়িয়ে যাবে না।

গবেষণার পেছনের গল্প: পর্যবেক্ষণভিত্তিক নয়, এবার প্রমাণসহ

আমরা জানি, শরীরচর্চা, ভালো ঘুম, সুষম খাবার, সামাজিক যোগাযোগ, আর হৃদযন্ত্রের যত্ন—এসব অভ্যাস বয়সের সাথে সাথে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার হার কমাতে পারে। তবে এতদিন এসব তথ্য এসেছে মূলত পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণা থেকে। এসব গবেষণায় মানুষের আচরণ ও তার ফলাফলের মধ্যে সম্পর্ক খোঁজা হয় ঠিকই, কিন্তু তা থেকে চিকিৎসকরা কখনো শক্তপোক্ত পরামর্শ দিতে পারেননি। অবশেষে সে সীমাবদ্ধতা দূর করেছে একটি নতুন গবেষণা, যা ছাপা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান চিকিৎসাবিষয়ক জার্নাল জার্নাল অফ দ্য আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা জেএমএ-তে এবং উপস্থাপিত হয়েছে আলঝেইমার অ্যাসোসিয়েশন ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে। এবার আর কেবল পর্যবেক্ষণ নয়—গবেষণা হয়েছে কঠোর কাঠামোয় এবং স্পষ্ট ফলাফল এসেছে অংশগ্রহণকারীদের ওপর প্রভাব বিশ্লেষণ করে।

দুই বছর, দুই গ্রুপ, দুটি পদ্ধতি
এই গবেষণায় অংশ নেন ৬০ থেকে ৭৯ বছর বয়সী ২ হাজার ১০০ জনেরও বেশি ব্যক্তি—যাদের ডিমেনশিয়ার লক্ষণ ছিল না, কিন্তু ঝুঁকি ছিল বেশ বড়সড়। কেউ কেউ একেবারে নিষ্ক্রিয় জীবনযাপন করতেন। কেউ কেউ খেতেন অপুষ্টিকর খাবার। কারো কারো পরিবারে ছিল স্মৃতিভ্রংশের ইতিহাস। আবার কেউ কেউ এমন জাতিগোষ্ঠীর সদস্য যাদের মধ্যে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি। তাদের এলোমেলোভাবে দুইটি লাইফস্টাইল প্রোগ্রামে বা জীবনযাপক কর্মসূচিতে ভাগ করা হয়, এবং সেই প্রোগ্রাম চলে পুরো দুই বছর।

একটি ছিল কঠোর কাঠামোবদ্ধ প্রোগ্রাম বা কর্মসূচি। এতে ৩৮টি দলীয় সেশনের মাধ্যমে চিকিৎসকরা অংশগ্রহণকারীদের জন্য নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেন। প্রতি সপ্তাহে অনলাইন ব্রেইন ট্রেইনিং হয়, পরীক্ষার ফলাফল চিকিৎসকের সাথে আলোচনা হয়, এমনকি ইউ.এস. হাইবুশ ব্লুবেরি কাউন্সিল প্রতি মাসে ১০ ডলার মূল্যের ব্লুবেরি কেনার রিবেট দেয়। কারণ, ব্লুবেরির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের সুরক্ষায় সহায়ক।

অন্যদিকে, কম কাঠামোবদ্ধ গ্রুপকে দেয়া হয় শুধুমাত্র জীবনযাত্রা সম্পর্কে সাধারণ পরামর্শ, বছরে তিনবার দলীয় সাক্ষাৎ, এবং প্রতি সাক্ষাতে ৭৫ ডলারের উপহার কার্ড—যা খরচ করতে বলা হয় স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়তে।

মগজে আলো জ্বালালো অভ্যাস
গবেষণার শেষে দেখা যায়—উভয় দলেই কিছু না কিছু উন্নতি হয়েছে, তবে কাঠামোবদ্ধ প্রোগ্রামে অংশ নেয়া দলটি উল্লেখযোগ্যভাবে ভালো করেছে। গড়পড়তায় তারা বয়সজনিত মানসিক দুর্বলতা এক থেকে দুই বছর পর্যন্ত দেরিতে শুরু করতে পেরেছে। ড. লরা বেকার, ওয়েক ফরেস্ট ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের জেরিয়াট্রিকস বিভাগের অধ্যাপক বলেন, ‘এটা একেবারেই নতুন তথ্য। আগে আমরা কেবল বিশ্বাস করতাম, এবার আমাদের হাতে প্রমাণও আছে।’

জোন্সের গল্প : ছেলের কথায় মোড় ঘুরে গেলো
গবেষণায় অংশ নেয়া ফিলিস জোন্স নিজেই বলছেন, শুরুতে তিনি শরীরচর্চা করতেন না। খেতেন যা খুশি। আর জীবনযাপন ছিল চাপ ও উদ্বেগে ভরা। তার টার্নিং পয়েন্ট আসে একদিন ছেলের কথায়—‘মা, আমি ভাবিনি এই বয়সে আপনাকে আমি দেখভাল করব।’ প্রোগ্রামের সাপোর্ট ও ধাপে ধাপে অভ্যাস গড়ে তোলার কৌশল তাকে সাহায্য করে বদলে যেতে। ‘শুরুতে দিনে ১০ মিনিট শরীরচর্চা করতে বলা হয়েছিল, তারপর সেটা ধীরে ধীরে বেড়ে ৩০ মিনিটে পৌঁছেছে। যারা অলস জীবনযাপন করে, তাদের জন্য ১০ মিনিটও একটা চমৎকার শুরু।’

প্যাটি কেলির যুদ্ধে জয়
৮১ বছর বয়সী প্যাটি কেলি ছিলেন জোন্সের দলে। তিনি ছোটবেলা থেকেই ওজন সমস্যায় ভুগেছেন—তৃতীয় শ্রেণিতে তার ওজন ছিল ১৩০ পাউন্ড। তার মা ৭৭ বছর বয়সে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হন, এবং কেলি তাকে সাত বছর দেখাশোনা করেন। ‘আমি চাইনি আমার ছেলেরা আমার জন্য এই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাক।’ গবেষণার পর নিজেকে নতুন করে চিনছেন কেলি। তার মতে, তার গাড়ি চালানোর দক্ষতা বেড়েছে, যেটার কৃতিত্ব তিনি দেন কম্পিউটার ভিত্তিক ব্রেইন ট্রেইনিংয়ের। আর জোন্স এখন এমন একটি চাকরি করছেন যেটা তিনি ভালোবাসেন। ‘আমি দারুণ মজা করছি,’ বলেন তিনি।

জেনেটিক ঝুঁকির ঊর্ধ্বে অভ্যাস

সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো—এই উন্নতি শুধু এপিওইএ নামক জেনেটিক ঝুঁকি বহনকারীদের মধ্যেই দেখা যায়নি; বরং সাধারণ মানুষের মধ্যেও ঘটেছে। অর্থাৎ, জীবনযাপনের বেলায় পরিবর্তন আনলেই সুফল মিলতে পারে, এমনকি যদি আপনার জেনেটিক ঝুঁকি কমও থাকে। বেকার বলেন, ‘বয়স বাড়লে মানসিক দুর্বলতা হবেই—এই ধারণা চ্যালেঞ্জ করছে আমাদের গবেষণা। সব মানসিক দুর্বলতা অনিবার্য নয়।’ ২০১৫ সালে ফিনল্যান্ডের এক গবেষণার ফলও এমনই ছিল। তবে সেটি ছিল অপেক্ষাকৃত একক জনগোষ্ঠীর। এই নতুন গবেষণা হয়েছে বৈচিত্র্যপূর্ণ অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে—বিভিন্ন জাতি, ভাষা, ইতিহাস এবং আলঝেইমার ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ডিমেনশিয়ার ঝুঁকিসম্পন্ন মানুষদের নিয়ে।

প্রমাণ মজবুত, প্রশ্ন আরো অনেক
গবেষকরা ফলাফল মূল্যায়নে ব্যবহার করেছেন একটি গ্লোবাল স্কোর, যা বিভিন্ন ধরনের নিউরোসাইকোলজিক্যাল পরীক্ষার সম্মিলিত রেটিং—এই স্কোর এতটাই সংবেদনশীল যে, আলঝেইমার শনাক্তকরণে ব্যবহৃত প্রচলিত পদ্ধতিতে ধরা না পড়া ছোট পরিবর্তনও ধরতে পারে। ড. বেকার বলেন, ‘আমি পরবর্তী চার বছর গবেষণার অংশগ্রহণকারীদের অনুসরণ করব, দেখতে এই পরিবর্তনগুলো তাদের স্মৃতিশক্তির ওপর দীর্ঘমেয়াদে কী প্রভাব ফেলে।’ এই গবেষণায় অংশ নেয়া ৩০ শতাংশ মানুষের মস্তিষ্কে ইতোমধ্যে অ্যামিলয়েড নামের প্রোটিন বা আমিষ জমা হয়েছে। অ্যামিলয়েডকে আলঝেইমারের প্রাথমিক চিহ্ন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আলঝেইমারের কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি। এক-তৃতীয়াংশ বহন করছেন এপিওই৪ জিন।

পরবর্তী ধাপে কী?
মারিয়া ক্যারিলো, আলঝেইমার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং এই গবেষণার সহ-পরিকল্পাকারী, বলেন, পরবর্তী ধাপে অংশগ্রহণকারীদের ওপর আলঝেইমার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ এবং জীবনযাপনের অভ্যাস একসাথে প্রয়োগ করে তাদের সম্মিলিত প্রভাব দেখা হবে। গবেষকেরা আরো জানতে চান, জনপ্রিয় জিএলপি-১ ওজন কমানোর ওষুধ মস্তিষ্কের ক্ষয়প্রক্রিয়ার ওপর কী প্রভাব ফেলে? —কিছু কিছু প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে, এই ওষুধ মস্তিষ্কের প্রদাহ কমাতে পারে, যা আলঝেইমারের অন্যতম কারণ।

শুরু হোক প্রথম পদক্ষেপ থেকে
ড. ক্যারিলো বলেন, ‘এখন চিকিৎসকদের আর দেরি করা উচিত নয়। এই প্রোগ্রামটি দ্রুত ছড়িয়ে দেয়া উচিত ক্লিনিক, হাসপাতাল এবং জনস্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে। মানুষ বুঝতে পারুক—তাদের প্রতিদিনের অভ্যাসের ছকই তাদের মস্তিষ্কের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে।’

বেকার বলেন, ‘কেউ যদি পুরো প্রোগ্রাম অনুসরণ করতে না পারেন, তবুও কিছু করলে কিছু ফল মিলবেই। কিছুই না করার চেয়ে কিছু করাই ভালো।’ জোন্স এখন তার সাত বছরের নাতনির জন্য অনুপ্রেরণা। ‘ও জানে সালাদ ছাড়া দুপুরের খাবার অসম্পূর্ণ। ও এটা শিখেছে দাদি থেকে।’ এখন তিনি স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে আলঝেইমার অ্যাসোসিয়েশনে কাজ করছেন, সহায়তা করছেন তাদের যারা একসময় তার মতোই অসহায় ছিলেন।

‘যারা আগে থেকেই স্বাস্থ্যবান্ধব অভ্যাসে অভ্যস্ত, তাদের জন্য এটা আশ্বাস। যারা শুরু করেছেন, তাদের জন্য উৎসাহ। আর যারা এখনো শুরু করেননি, তাদের জন্য এটা আশার আলো,’ বলেন ক্যারিলো।

এটা এক বৈজ্ঞানিক সত্য—আপনি আপনার মস্তিষ্কের ভবিষ্যৎ বদলে দিতে পারেন। মগজ সতেজ রাখতে পারেন। শুধু দরকার, ছক বেঁধে জীবন-যাপনের প্রথম পদক্ষেপ নেয়া।

আর একবার যাত্রা শুরু করলে চলার আপন গতিতেই বয়ে যাবে জীবন।

এই গবেষণা যেন আমাদের চোখ খুলে দিল। আমরা যারা ভাবি, বয়স বাড়লেই ভুলে যাওয়ার রোগ হবে, কিছু করার নেই—তাদের জন্য এটা এক জাগরণ ডাক। মনে রাখতে হবে, নিয়ম মেনে খাওয়া, ঘুম, শরীরচর্চা, সামাজিকতা—এসব শুধু শরীর নয়, মগজও রক্ষা করে। গবেষণা বলছে, শুরুটা ছোট হলেও দীর্ঘদিন ধরে তা বড় ফল দেয়। বাংলাদেশের মতো দেশে, যেখানে প্রবীণ জনগোষ্ঠী দ্রুত বাড়ছে, সেখানে এখনই দরকার এমন উদ্যোগ—যাতে মানুষ অবসরজীবনেও ছকবাঁধা অভ্যাসে জীবন কাটাতে শেখে।

এই প্রসঙ্গে মনে পড়ে, ঢাকার ‘প্রবীণ হিতৈষী’ নামে একটি সাময়িকীতে ষাট কিংবা সত্তরের দশকে এক লেখায় বলা হয়েছিল—‘মানুষের উচিত একটি সক্রিয় সখ বা অ্যাক্টিভ হবি গড়ে তোলা। তাতে কর্মজীবন শেষে, এমনকি বার্ধক্যেও নিজেকে সমাজের ‘বাতিল’ মনে হয় না।’ কী গভীর সত্য! কেউ ছবি আঁকুক, কেউ গল্প লেখুক, কেউ হাঁটতে বেরোক—কিন্তু কিছু না কিছু করতেই হবে।

শেষ পর্যন্ত, জীবন মানেই তো প্রবাহ। ছন্দহীন জীবনে যেমন বদ্ধ পানির মতো স্থবিরতা আসে, তেমনি রুটিনহীনতা ডেকে আনে মগজের অকাল মৃত্যু। তাই আজই হোক শুরু। প্রথম পদক্ষেপটা নিন। আপনি যেখানেই থাকুন—গাজীপুর হোন বা গাইবান্ধা—নিজের জন্য একটা দৈনন্দিন ছক তৈরি করুন। একটা সকাল, একটা বিকেল গড়ে তুলুন। কারণ, মগজের শক্তি রক্ষা করতে চাইলে, জীবনকে আগে গঠন করতে হবে। সেই পথেই আসবে আশার আলো।