ক্যারিবীয় অঞ্চলে চলমান সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনিজুয়েলার বামপন্থী নেতা ও প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। এতে যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনিজুয়েলার মধ্যকার সম্পর্কে নতুন মোড় এসেছে।
নিউইয়র্ক টাইমস শুক্রবার জানিয়েছে, এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্রে সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
এই ফোনালাপের খবর এমন সময় এসেছে যখন ট্রাম্প প্রশাসন ক্যারিবীয় অঞ্চলে বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরীসহ বড় ধরনের সামরিক সমাবেশ ঘটিয়ে ভেনিজুয়েলার ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। ওয়াশিংটন বলছে, এর লক্ষ্য মাদক পাচার রোধ করা। কিন্তু কারাকাস জোর দিয়ে বলছে, সরকার পরিবর্তন করাই এর মূল লক্ষ্য।
টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফোনালাপে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওও যুক্ত ছিলেন। তবে এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ক্যারিবীয় সাগর ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে ভেনেজুয়েলার অন্তত ২০টি সন্দেহভাজন মাদকবাহী জাহাজে হামলা চালিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।
এতে ৮০ জনের বেশি নিহত হয়েছে।
তবে এসব জাহাজে করে মাদক পাচার করা হচ্ছিল বা সেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি ছিল এমন কোনো প্রমাণ ওয়াশিংটন এখনো দেয়নি। এই অভিযান ও সামরিক উপস্থিতি বাড়ায় আঞ্চলিক উত্তেজনা তীব্র হয়েছে।
ট্রাম্প-মাদুরো ফোনালাপের খবর আসে একদিন পর, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দেন সড়ক পথে ভেনেজুয়েলার মাদক পাচার ঠেকানোর উদ্যোগ শিগগিরই শুরু হবে। এতে কারাকাসের সঙ্গে উত্তেজনা আরো বাড়ছে।
সামরিক অভিযান ও বাড়তি সামরিক বহর মোতায়েনের ফলে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা আরো তীব্র হয়েছে। মূলত ভেনেজুয়েলা থেকে কথিত মাদক পাচার ঠেকাতে এবার স্থলপথেও অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে বলে ট্রাম্প ঘোষণা দেওয়ার একদিন পর মাদুরোর সঙ্গে তার ফোনালাপের খবরটি সামনে এলো।
সেসময় মার্কিন সেনাদের উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘আপনারা হয়তো খেয়াল করেছেন, অনেকেই আর সমুদ্রপথ ব্যবহার করতে চাইছে না। আমরা খুব শিগগিরই তাদের স্থলপথেও থামাতে শুরু করব। স্থলভাগে অভিযান তুলনামূলক সহজ।’



