হাসিনাকে ফেরতের অনুরোধ পর্যালোচনা করছে ভারত

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই হত্যাকাণ্ডের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরতে ঢাকার চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে ভারত।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল |সংগৃহীত

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী ও জুলাই হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনাকে ফেরতের বিষয়ে ঢাকার করা অনুরোধ পর্যালোচনা করে দেখছে বলে জানিয়েছে ভারত। বুধবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই হত্যাকাণ্ডের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরতে ঢাকার চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে ভারত।

জয়সওয়াল বলেছেন, পলাতক শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য বাংলাদেশের কাছ থেকে নতুন করে একটি অনুরোধ এসেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার পর এই অনুরোধ পাঠানো হয়েছে।

শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। এরপর থেকে দেশটির উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেবি সরকারের আশ্রয়ে রয়েছেন।

তখন থেকে দেশটির অজ্ঞাত স্থানে অবস্থান করা হাসিনাকে দুই দফায় ফেরত চেয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে এবারই প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে ভারত।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‌‌‌‌‘‘হ্যাঁ, আমরা একটি অনুরোধ পেয়েছি। এই অনুরোধটি চলমান বিচারিক ও অভ্যন্তরীণ আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’’

তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণ—বিশেষ করে শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ এবং এ বিষয়ে সব পক্ষের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবো।’

গত বছরের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনকারীদের হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পর চলতি মাসে তাকে ফেরত চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে, গত বছরের ডিসেম্বরে দিল্লির কাছে প্রথমবারের মতো একই ধরনের চিঠি দেয়া হয়েছিল।

সূত্র: রয়টার্স।