গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার মদনেরপাড়া গ্রামে অবস্থিত ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার শুধু একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নয়, এটি বাংলাদেশের স্থাপত্য ও পরিবেশবান্ধব নকশার অনন্য এক নিদর্শন। ২০১৬ সালে আগা খান আর্কিটেকচার অ্যাওয়ার্ড জয়ী এই সেন্টারটি দেশ ও বিদেশ থেকে দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করছে।
ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারটি ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে স্থানীয় জনগণ ও প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করছে। মাটির নিচে নির্মিত এই নান্দনিক স্থাপনাটি সৌন্দর্য, সমাজসেবা ও স্থানীয় অর্থনীতির এক সংযোগস্থলে পরিণত হয়েছে।
ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারের ইতিহাস, নকশা, কার্যক্রম ও স্থানীয় প্রভাব নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার, গাইবান্ধার সিনিয়র ম্যানেজার লোকমান হোসেন।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নয়া দিগন্তের ইন্টার্ন শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান।
নয়া দিগন্ত: ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারটি কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে?
লোকমান হোসেন: ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০১২ সালের ১৮ নভেম্বর। এটি গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার মদনেরপাড়া গ্রামে অবস্থিত।
নয়া দিগন্ত: কোন প্রতিষ্ঠান ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারটি প্রতিষ্ঠা করেছে?
লোকমান হোসেন: ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার মূলত ‘ফ্রেন্ডশিপ’ নামক অর্গানাইজেশন (সংস্থা) কর্তৃক পরিচালিত হয়। ফ্রেন্ডশিপ শুধু কাজ করে ডেভেলভমেন্ট সেক্টর নিয়ে। ফ্রেন্ডশিপ একটি ননপ্রফিটএবল অর্গানাইজেশন (অলাভজনক সংস্থা)। এই অর্গানাইজেশনের কোনো মাইক্রো ক্রেডিট নেই।
প্রতিষ্ঠানটি হেলথ (স্বাস্থ্য), এডুকেশন (শিক্ষা), ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা), কালচারাল প্রিজারভেশন (সাংস্কৃতিক সংরক্ষণ) ও ইনক্লুসিভ সিটিজেনশিপসহ (অন্তর্ভুক্তিমূলক নাগরিকত্ব) বিভিন্ন ডেভেলপমেন্ট সেক্টর নিয়ে কাজ করে।
নয়া দিগন্ত: ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য কী ছিল?
লোকমান হোসেন: ফ্রেন্ডশিপের বিভিন্ন প্রোগ্রাম বা প্রকল্প আছে। সেই প্রোগ্রাম বা প্রকল্পগুলোর স্টাফ ও বেনিফিশিয়ারি বা সুবিধাভোগীদের ক্যাপাসিটি বিল্ডআপ বা সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যই মূলত এই ট্রেনিং সেন্টারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
নয়া দিগন্ত: কোন স্থপতি বা আর্কিটেকচার ফার্ম এটির নকশা করেছে?
লোকমান হোসেন: এটির নকশা করেছেন খ্যাতনামা স্থপতি কাশেফ মাহবুব চৌধুরি। কাশেফ মাহবুব চৌধুরির আরবানা (Urbana) নামে একটি কনস্ট্রাকশন ফার্ম আছে। সেই ফার্মের মাধ্যমে এই স্থাপনাটি তৈরি করা হয়েছে।
এর শৈল্পিক ও দৃষ্টিনন্দন নকশার কারণেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে দর্শনার্থীরা এখানে পরিদর্শনের জন্য আসেন।
নয়া দিগন্ত: এটির স্থাপত্য নকশা বেশ ব্যতিক্রমধর্মী—এটি নিয়ে কিছু বলুন।
লোকমান হোসেন: ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারটি সম্পূর্ণ মাটির নিচে তৈরি করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বগুড়ার মহাস্থানগড়ের আদলে এটি তৈরি করা। এই সেন্টারটি বিশেষত্ব হলো এটি ইকো-ফ্রেন্ডলি (পরিবেশবান্ধব)।
সেন্টারটি যদি পাঁচতলা বা সাততলা হতো তাহলে এই ভবনের কারণে এতো সুন্দর একটা গ্রাম যার সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যেতো। সেন্টারটি মাটির নিচে বা মাটির সমতলে হওয়াতে ফসলি জমির মতোই মনে হয় এই স্থাপনাটি। কারণ এই স্ট্রাকচারের উপরে যে ঘাস এবং সবুজায়ন করা হয়েছে তাতে মনে হয় যেন একটা মাঠ। আর এটির পিছনে যে গ্রাম সেই গ্রামটিও দৃশ্যমান।
সেইসাথে এটির নির্মাণ কাজে সম্পূর্ণ লোকাল প্রোডাক্ট (স্থানীয় পণ্য) ব্যবহার করা হয়েছে। যেখানে একদম প্রত্যন্ত অঞ্চলের লাল ইট, কংক্রিট, পাথর, বালি এবং আসবাবপত্র তেরিতে স্থানীয় কাঠ ও অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে।
গ্রামের সৌন্দর্য রক্ষা এবং গ্রামের সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধিতে সেন্টারটির এমন ব্যতিক্রমধর্মী ডিজাইন করা হয়েছে।
নয়া দিগন্ত: ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারের স্থাপনা কাঠামো কেমন?
লোকমান হোসেন: সেন্টারটি মাটির সমতলে তৈরি করা হয়েছে। ছাদে লাগানো ঘাস ভবনটিকে চারপাশের পরিবেশের সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে।
ভবনটির মোট আয়তন প্রায় ৩২ হাজার বর্গফুট। এখানে দুটি প্রধান ব্লক আছে। একটি ব্লকে শ্রেণিকক্ষ, অফিস, লাইব্রেরি, প্রার্থনাকক্ষ রয়েছে। অন্য ব্লকে আবাসিক কক্ষ, খাবার ঘর ও অতিথিশালা রয়েছে।
নয়া দিগন্ত: ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারের ভেতরে কী কী সুযোগ-সুবিধা রয়েছে?
লোকমান হোসেন: এখানে ফ্যাসিলিটি হিসেবে আছে দুটি বিশাল আকৃতির সেমিনার রুম বা ওয়ার্কশপ রুম। থাকার জন্য ৪৮ জনের থাকার সুব্যবস্থা আছে।
এখানে খাবারের ডাইনিং আছে যেখানে ৭০ জন একসাথে খেতে পারে। পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা থাকার ব্যবস্থা আছে।
যেসব গেস্ট বা অতিথি দেশের বাইরে থেকে আসে তাদের জন্য থাকার আলাদা ব্যবস্থা আছে। এছাড়া স্টাফদের থাকার জন্যও সম্পূর্ণ আলাদা ব্যবস্থা আছে।
এখানে কম্পিউটার বেইজড লাইব্রেরি আছে, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ (প্রসাশনিক) রুম আছে, নামাজের জায়গা আছে। ট্রেনিং সেশনের গ্রুপ ওয়ার্ক, গ্রুপ ডিসকাশন করা জন্য দুইটা প্যাভিলিয়ন আছে। ট্রেইনি (প্রশিক্ষক) বা ট্রেইনারদের (প্রশিক্ষণার্থী) বাচ্চা বা গাইডদের বিনোদনের জন্য ছোট্ট একটি ইনডোর গেইমের ব্যবস্থা আছে।
নয়া দিগন্ত: ২০১৬ সালে ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার ‘আগা খান অ্যাওয়ার্ড ফর আর্কিটেকচার’ পায়। এটি নিয়ে কিছু বলেন?
লোকমান হোসেন: ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারটি ইকো-ফ্রেন্ডলি (পরিবেশবান্ধব) হওয়ায় ২০১৬ সালে বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ স্থাপত্য সম্মান ‘আগা খান অ্যাওয়ার্ড ফর আর্কিটেকচার’ অর্জন করে। যেখানে ৬৯টি দেশের একশত ৮৪টি স্থাপনার মধ্যে ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার যৌথভাবে এই অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে।
নয়া দিগন্ত: ফ্রেন্ডশিপের কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে কিছু বলবেন?
লোকমান হোসেন: ফ্রেন্ডশিপ বাংলাদেশের ২৪টি জেলায় কাজ করে। ফ্রেন্ডশিপের কাজ মূলত দুর্গম চরাঞ্চল ও উপকূলীয় এলাকা নিয়ে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সাংস্কৃতিক সংরক্ষণ ও নাগরিক অধিকার উন্নয়নে ফ্রেন্ডশিপ কাজ করছে।
নয়া দিগন্ত: স্থানীয় জনগণের উপর ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারের কী ধরনের প্রভাব পড়ছে?
লোকমান হোসেন: সারা বাংলাদেশ তথা বিশ্বের মানুষ এখন গাইবান্ধাকে চেনে এই ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারের মাধ্যমে। ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার হওয়াতে এখানে মানুষের সমাগম হয়। ফলে ক্রয়-বিক্রয়, রাত্রিযাপন, যাতায়াত সবকিছু মিলে একটি অর্থনৈতিক প্রভাব পড়ে।
নয়া দিগন্ত: এখানে বর্তমানে কী কী ধরনের কর্মসূচি বা ট্রেনিং পরিচালিত হয়?
লোকমান হোসেন: এখানে ফ্রেন্ডশিপের নিজস্ব বিভিন্ন প্রোগ্রামের ট্রেনিং হয়। যেমন—এডুকেশন (শিক্ষা), হেলথ (স্বাস্থ্য), ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা), সোশ্যাল জাস্টিস (সামাজিক ন্যায়বিচার), উইভিং (তাঁত বুনন) ও সোলার টেকনোলজি সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ।
নয়া দিগন্ত: ট্রেনিংগুলো কীভাবে পরিচালিত হয় উদাহরণ হিসেবে দুই-একটি সম্পর্কে বলেন।
লোকমান হোসেন: এডুকেশন প্রোগ্রাম নিয়ে যদি উদাহরণ দেই, গাইবান্ধায় ১৫টি প্রাইমারি স্কুল, পাঁচটি হাইস্কুল ও ৮৭টি এডাল্ট এডুকেশন সেন্টার আছে। এখানকার শিক্ষকরা এসএসসি বা এইচএসসি পাশ। তাদেরকে প্রত্যেক মাসে তিনদিন, পাঁচদিন বা সাতদিন এখানে রেখে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
আগামী একমাস কীভাবে ক্লাস পরিচালনা করবে, সাবজেক্ট অনুযায়ী প্রত্যেক চ্যাপ্টার থেকে আগামী একমাস কীভাবে পড়াবে, কতটুকু পড়াবে প্রত্যেকটা জিনিস তাদেরকে শেখানো হয়। পরবর্তী মাসে এই পরিকল্পনা ও শিক্ষা অনুযায়ী তারা শিক্ষাদান করবে।
তারমানে একটা এসএসসি বা এইচএসসি পাশ ছেলে-মেয়ে এই শিখন শিখে গিয়ে তারা আবার ক্লাস পরিচালনা করবে। এভাবে প্রত্যেক মাসে এসে তারা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে এবং নিজে শিক্ষাদান করছে। এতে তারা শিক্ষায় পারদর্শি হচ্ছে। তাদেরকে দিয়েই এখন আমাদের এডুকেশন প্রোগ্রামটা পরিচালনা করা হয়।
নয়া দিগন্ত: এখানে কী কী ধরনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে?
লোকমান হোসেন: প্রাইমারি ও হাইস্কুল শিক্ষক, স্বাস্থ্যসেবাদানকারী, তাঁত বুনন শিল্প, সোলার টেকনিসিয়ান ইত্যাদি কর্মক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। এছাড়া দুর্গম চরে যাতায়াতের জন্য মাঝির প্রয়োজন হচ্ছে। ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার পরিচালনায় নিয়োজিত বিভিন্ন কর্মীসহ নানা কর্মক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।
নয়া দিগন্ত: প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে স্থানীয়রা কীভাবে উপকৃত হচ্ছেন?
লোকমান হোসেন: বিনামূল্যে শিক্ষা সহায়তা ও প্রশিক্ষণ পাচ্ছে। ফলে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী ও দক্ষ শিক্ষক গড়ে উঠছে। প্রশিক্ষণের দ্বারা দুর্গম চরাঞ্চলের জনগোষ্ঠী স্বাস্থ্যজ্ঞান ও স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে, আইনি বিষয়ে জ্ঞান পাচ্ছে, তাঁত বুননে দক্ষ হয়ে কর্মক্ষম হচ্ছে, সোলার টেকনিসিয়ান তৈরি হচ্ছে। ফলে নানাভাবে তারা উপকৃত হচ্ছে।
নয়া দিগন্ত: এই প্রতিষ্ঠানের চ্যালেঞ্জগুলো কী কী?
লোকমান হোসেন: যেহেতু সেন্টারটি মাটির নিচে নির্মিত। তাই বৃষ্টির পানি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বৃষ্টি পানি নিয়ন্ত্রণে ভিতরে চারটি ওয়াটার বডি (ছোট পুকুর) আছে। বডিগুলো প্রত্যেকটি একে অপরের সাথে পাইপের মাধ্যমে সংযুক্ত করা আছে। ওয়াটার বডিগুলোতে পানির লেভেল ক্রস করলেই পানিগুলো বাইফোর্সিং সাবমারসিবল পাম্পের মাধ্যমে বাইরের পুকুরে চলে যায়।
এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমরা তিন ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করি। একটি হলো বিদ্যুতের মাধ্যমে সাবমারসিবল পাম্প চালিয়ে পানি অপসারণ, আরেকটি হলো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বিদ্যুৎ না থাকলে জেনারেটরের মাধ্যমে সাবমারসিবল পাম্প চালিয়ে পানি অপসারণ। তৃতীয়টি হলো ইলেকট্রিসিটি ও জেনারেটর দুটোই ফল্ট করলে ডিজেল ইঞ্জিনের মাধ্যমে পানি অপসারণ।
আবার সেন্টারটি নদীর নিকটবর্তী হওয়ায় শহর রক্ষা বাঁধ কখনো ভেঙে গেলে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। যদিও বিগত সময়ে বড় কোনো সমস্যা ফেস করতে হয়নি। জেনারেলি যে সিস্টেমগুলো আছে সেই সিস্টেমগুলো দিয়ে আমরা এই সমস্যা ওভারকাম করেছি।
নয়া দিগন্ত: এই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনায় স্থানীয় সরকার বা আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থা সহযোগিতা করে কি?
লোকমান হোসেন: ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারকে সহযোগিতা করে থাকে অর্থাৎ ফ্রেন্ডশিপকে বিভিন্ন প্রোগ্রামের মাধ্যমে ডোনেট করে থাকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা। ইউরোপিয়ান বেশকিছু দেশ আছে তারমধ্যে লুক্সেমবার্গ, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, হল্যান্ড, বেলজিয়াম ফ্রেন্ডশিপকে সহযোগিতা করে থাকে।
নয়া দিগন্ত: আগামী পাঁচ বছরে ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারের কী ধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে?
লোকমান হোসেন: আগামী পাঁচ বছর বা আগামীদিনের জন্য ফ্রেন্ডশিপের এখন কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে আমার ধারণা ফ্রেন্ডশিপের যে চাহিদা, মানুষের যে চাহিদা এর এলাকা বৃদ্ধির প্রয়োজন পরতে পারে। যদি এলাকা বৃদ্ধির প্রয়োজন হয় তখন পরিকল্পনা মাফিক কাজ করা হবে। তবে আপাতত কোনো বিশেষ ধরনের পরিকল্পনা নাই।
নয়া দিগন্ত: এখানে দর্শনার্থীদের প্রবেশে কোনো সীমাবদ্ধতা আছে কি?
লোকমান হোসেন: ফ্রেন্ডশিপ যেহেতু একটি ট্রেনিং সেন্টার সেজন্য এখানে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করা আছে। বিশেষক্ষেত্রে অনুমতি সাপেক্ষে এখানে প্রবেশ করা যায়।
নয়া দিগন্ত: এখানে প্রবেশে কোনো ফি নেয়া হয় কি?
লোকমান হোসেন: যেহেতু ফ্রেন্ডশিপ কোনো কমার্সিয়াল প্রতিষ্ঠান না। তাই এখানে প্রবেশে কোনো প্রবেশ ফি দিতে হয় না।
 


