জীবনে টিকে থাকা জরুরি। নানান রকমের প্রতিবন্ধকতায় আপনাকে পথ চলতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির এ সময়ে যোগাযোগের দক্ষতা ভালো ক্যারিয়ার গড়তে দারুণ সহায়ক হতে পারে। এ ক্ষেত্রে স্যোশাল নেটওয়ার্ক বা সামাজিক যোগাযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ । কাজ ও যোগাযোগে দক্ষতা অর্জনে কয়েকটি বিষয় নিয়ে ভাবতে পারেন। যা আপনাকে নতুন করে পথ চলতে শেখাবে।
বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কিংবা ক্লায়েন্টদের সাথে আপনার সাবলীল ও ইতিবাচকভাবে কথা বলার সক্ষমতা ব্যক্তিত্বকে যেমন উজ্জ্বল করে একইভাবে সুযোগ ও সম্ভাবনার দুয়ারও খুলে দেয়।
বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা স্যোশাল নেটওয়ার্ক কেবল আড্ডার জায়গা নয়, বরং এটি হয়ে উঠেছে নেটওয়ার্ক তৈরি, দক্ষতা প্রদর্শন এবং পেশাগত সম্ভাবনা খোঁজার বড় ক্ষেত্র। তাই কাজের পাশাপাশি সঠিকভাবে যোগাযোগ স্থাপন ও উপস্থাপনায় নজর দেয়া জরুরি।
এজন্য সহজেই কিছু কৌশল ও ভাষাগত ব্যবহার অনুসরণ করলে যোগাযোগ দক্ষতা নতুন করে পথ চলতে শেখাবে এবং কাঙ্ক্ষিত ক্যারিয়ারের দিকে এগিয়ে যেতে সহায়ক হবে।
এক.
তুলনা না করে আত্নবিশ্বাসী হোন, এটা আপনাকে প্রেরণা দিবে। হিংসা পরিহার করে ভালোবাসতে শিখুন।
দুই.
অপরের মতামতকে গুরুত্ব দিন। নিজের মতামত পরে বলুন। এতে আপনি নিজেকে গুছিয়ে নিতে পারবেন। সামান্য বিষয়ে বিবাদ না করে সমন্বয়ের চেষ্টা করুন। এতে আপনার এগিয়ে যাওয়া সহজ হবে।
তিন.
পরিকল্পনা করে জীবনকে এগিয়ে নিন। মনে রাখবেন পরিকল্পনা কাজের অর্ধেক। যা আপনাকে আত্নবিশ্বাসী ও সাহসী করতে সহায়তা করবে। আপনি কি করছেন এবং কেন করছেন তা আগেই পরিকল্পনায় নিন।
চার.
পড়াশোনা এবং যে কোন কাজের পাশাপাশি প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষা (বিশেষ পারদর্শী) নিজের দখলে রাখুন। প্রযুক্তি ক্ষতির কারণ না হয়ে হতে পারে আপনার এগিয়ে যাবার সহজ উপায় বা কাছের বন্ধু।
পাঁচ.
পরিবার ও মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি আন্তরিকভাবে গুরুত্ব দিন। মনে রাখবেন, দুনিয়ায় সবকিছুর আগে আপনার এগিয়ে যাবার পথে সবচেয়ে বেশি সহায়ক আপনার পরিবার ও আপনি নিজেই। তাই নিজেকে মানসিক প্রশান্তিতে রাখুন।
ছয়.
কোন কাজ করার আগে আপনি পারবেন না এটা না ভেবে বরং কী কী উপায়ে কাজটি করা যায় তা ভাবুন।
সময় দিন। যাদের সহায়ক মনে করেন পরামর্শ নিন।
সাত.
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজেকে জ্ঞান বিকাশে আবিষ্কার করুন। পড়াশোনা করুন। যেভাবে যখন সুযোগ হয় বই নিয়ে বসুন। দুনিয়ার হাজারো বইয়ের মধ্যে বাছাইকৃত বই পড়ুন। জীবন ছোট কাজেই প্রোডাক্টিভ বই পড়ুন।
আট.
যে কোন পণ্য কেনাবেচা করুন। জনসংযোগ তৈরি করতে বিপণন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। পণ্য নিয়ে কথা বলুন। দক্ষতা যাচাই ও সম্পর্ক তৈরি করতে এটি সবসময় কাজ দিবে।
নয়.
অনলাইন বা স্যোশাল মিডিয়ায় অযথা সময় ব্যয় না করে তা ইফেক্টিভ করার উপায় বের করুন। যেভাবে আপনি সাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। একটা করে নতুন কাজ শিখুন এবং তা প্রয়োগ করুন।
দশ.
জীবনকে সহজভাবে দেখুন। দৈনিক দশটা সিদ্ধান্ত না নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নিন। কার্যকর করুন। দৈনন্দিন কাজের অভ্যাস তৈরি করুন। সময়কে কাজে লাগান।