গণমাধ্যমের ফটোকার্ড নকল করে প্রধান উপদেষ্টাকে জড়িয়ে ভুয়া তথ্য প্রচার শনাক্ত করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) ফ্যাক্টচেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট।
বাংলাফ্যাক্ট জানায়, আরটিভি ও জনকণ্ঠের ফটোকার্ড নকল করে প্রধান উপদেষ্টাকে জড়িয়ে ভুয়া তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। এই দু’টি গণমাধ্যমের লোগো ও ডিজাইন ব্যবহার করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জড়িয়ে সম্প্রতি একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।
সেখানে দাবি করা হচ্ছে, শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমতা বুঝিয়ে দিতে চান প্রধান উপদেষ্টা। কিন্তু ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা এমন কোনো মন্তব্য করেছেন- এর কোনো সত্যতা বাংলাফ্যাক্ট খুঁজে পায়নি। আরটিভি এবং দৈনিক জনকণ্ঠ আলোচিত তথ্যসম্বলিত এমন কোনো ফটোকার্ড প্রকাশও করেনি। গণমাধ্যম দু’টির ফটোকার্ডের আদলে ফটোকার্ড দু’টি তৈরি করে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
বাংলাফ্যাক্ট অনুসন্ধান টিম জানায়, আরটিভির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইটে এমন কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ পাওয়া যায়নি। এছাড়া প্রচারিত ফটোকার্ডটির টেক্সট ফন্ট আরটিভির প্রচলিত ফটোকার্ডের ফন্টের সাথে মিল নেই।
পাশাপাশি, দৈনিক জনকণ্ঠের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইটেও এমন ফটোকার্ড বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই ফটোকার্ডটির টেক্সট ফন্টেও জনকণ্ঠের প্রচলিত ফটোকার্ডের ফন্টের সাথে পার্থক্য রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টাকে জড়িয়ে ‘ক্ষমতা হস্তান্তর’ নিয়ে প্রচারিত এই তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ফটোকার্ডগুলোও নকল বলে শনাক্ত করেছে বাংলাফ্যাক্ট।
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্তর্বর্তী সরকার, খাগড়াছড়ির সাম্প্রতিক ইস্যু, চব্বিশের আন্দোলনে অংশ নেয়া দল ও সংগঠনের বিরুদ্ধে গুজব ও ভুয়া তথ্য প্রচারের হার বেড়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠানগুলো।
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া শত শত ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে বাংলাদেশের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান বাংলাফ্যাক্ট। বাংলাদেশে চলমান গুজব, ভুয়া খবর ও অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে দায়িত্ব পালন করছে বাংলাফ্যাক্ট।
সূত্র : বাসস