গলায় রশি বেঁধে টেনে নিয়ে যাওয়ার ভারতের একটি ভিডিওকে বাংলাদেশের ঘটনা হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে বিভ্রান্তি ও গুজব ছড়ানোর অপচেষ্টা শনাক্ত করেছে ফ্যাক্টওয়াচ।
ফ্যাক্টওয়াচ জানায়, ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর ক্যাপশনে দাবি করা হয়, বাংলাদেশে মানুষ হত্যা করে গলায় রশি বেঁধে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভিডিওটি আসলে ভারতের পশ্চিম বর্ধমান জেলার।
ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান টিম জানায়, ভিডিওটিতে দেখা গেছে, একটি দোকানের সাইনবোর্ডে ‘দত্ত জুয়েলার্স, কাঁকসা হাটতলা, পানগড় বাজার, বর্ধমান’ লেখা রয়েছে। ওই ঠিকানাটি ব্যবহার করে গুগল ম্যাপের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় যে দোকানটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম বর্ধমান জেলায় অবস্থিত। ফলে স্পষ্ট হয়, ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়।
ফ্যাক্টওয়াচ আরো জানায়, ‘আমার কথা’ নামের একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়- জেলার কাঁকসা থানা সংলগ্ন কাঁকসা হাটে দুই কিশোর ফোন চুরি করে পালানোর সময় জনতার হাতে ধরা পড়ে। পরে মাঠের একটি গোলপোস্টে রশি দিয়ে বেঁধে তাদের মারধর করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই দুই কিশোরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এছাড়া ফ্যাক্টওয়াচ জানায়, ‘ভিডিওটি বাংলাদেশের’ দাবির পক্ষে নির্ভরযোগ্য কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই তারা ভিডিওটিকে ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
বাংলাদেশে চলমান ভুয়া খবর, গুজব ও অপতথ্য প্রতিরোধে কাজ করে স্বাধীন ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা ফ্যাক্টওয়াচ। প্রতিষ্ঠানটি লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত এবং সেন্টার ফর ক্রিটিকাল অ্যান্ড কোয়ালিটেটিভ স্টাডিজ (সিকিউএস) দ্বারা পরিচালিত।
ফ্যাক্টওয়াচের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত বছর থেকে ভারতীয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ কিছু দেশীয় ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশকে জড়িয়ে গুজব ও ভুয়া তথ্য ছড়ানোর প্রবণতা বেড়েছে। এসবের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার, খাগড়াছড়ি পরিস্থিতি এবং ২৪-এর আন্দোলনে অংশ নেয়া দল ও সংগঠনগুলোকে লক্ষ্য করে অপতথ্য প্রচারের ঘটনা বিশেষভাবে চোখে পড়েছে। তবে এসব ঘটনার সত্যতা যাচাই করে জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে নিয়মিত কাজ করছে ফ্যাক্টওয়াচ। সূত্র : বাসস