বাংলাফ্যাক্ট

জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত গ্রাফিতির সংকলন ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা শনাক্ত

জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে আঁকা স্বতঃস্ফূর্ত গ্রাফিতির সংকলনের প্রচ্ছদকে ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’-এর ম্যাপ দাবিতে ভারতীয় গণমাধ্যমে ধারাবাহিক অপপ্রচার চলছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন

গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে আঁকা জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত গ্রাফিতির সংকলন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা শনাক্ত করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) ফ্যাক্ট চেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট।

বাংলাফ্যাক্ট জানিয়েছে, গ্রাফিতির বইয়ের প্রচ্ছদকে ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’-এর ম্যাপ দাবিতে ভারতীয় গণমাধ্যমে ধারাবাহিক অপপ্রচার চলছে।

বাংলাফ্যাক্ট অনুসন্ধান টিম জানিয়েছে, বইটি মূলত ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে আঁকা জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত গ্রাফিতির সংকলন। এর প্রচ্ছদে যে মানচিত্রের ছবি দেখা যায়, তা শিক্ষার্থীদের আঁকা একটি গ্রাফিতি চিত্র। প্রধান উপদেষ্টা গত বছর সেপ্টেম্বর থেকেই বইটি বিশ্বনেতাদের উপহার দিচ্ছেন।

গত বছর থেকে ভারতীয় গণমাধ্যম ও ভারত থেকে পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাশাপাশি দেশেও বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশকে জড়িয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, চব্বিশের আন্দোলনে অংশ নেয়া দল ও সংগঠনের বিরুদ্ধে গুজব, ভুয়া তথ্য প্রচারের হার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠানগুলো।

ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া শত শত ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে বাংলাদেশের ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান বাংলাফ্যাক্ট। বাংলাদেশে চলমান গুজব, ভুয়া খবর ও অপতথ্য প্রতিরোধ করে জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেয়ায় দায়িত্ব পালন করছে তারা।

সূত্র : বাসস