শুরু হলো সাইমুমের ৪ দিনব্যাপি ‘জুলাই জাগরণ কালচারাল ফেস্ট’

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম।

নয়া দিগন্ত অনলাইন

Location :

Dhaka City
উদ্বোধনের পর কালচারাল ফেস্ট ঘুরে দেখছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম
উদ্বোধনের পর কালচারাল ফেস্ট ঘুরে দেখছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম |সংগৃহীত

শুরু হলো সাইমুমে শিল্পীগোষ্ঠীর চার দিনব্যাপি ‘জুলাই জাগরণ কালচারাল ফেস্ট’। শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে এ আয়োজন। আয়োজনে থাকছে গান, চলচ্চিত্র প্রদর্শনি, মঞ্চ নাটক, জুলাইয়ের বিভিন্ন আলোচিত ঘটনার ডকুমেন্টারি প্রদর্শনি। এছাড়া প্রতিদিন বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকবে অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের গল্প ও স্মৃতিচারণ।

এছাড়াও আছে শিশুদের জন্য কিডস জোন ও বিভিন্ন খেলার আয়োজন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী।

২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার ফ্যাসিবাদবিরোধী গণঅভ্যুত্থানের চেতনা নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর বর্তমান পরিচালক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘২০২৪ সালের আন্দোলনে সাইমুম শুধু সাংস্কৃতিক দল ছিল না, ছিল প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর। মাঠে থেকেছি, গ্রাফিতিতে থেকেছি, জীবনও দিয়েছি। রংপুরে আমাদের সহপরিচালক আব্দুল্লাহ আল তাহির শহীদ হয়েছেন এটা আমাদের যেমন গর্ব তেমনি ব্যথা।’

প্রতিদিন উৎসব চলবে তিনটি পৃথক অধিবেশনে। প্রথম অধিবেশন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে চলবে বেলা ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। যেখানে চলচ্চিত্র, প্রামাণ্যচিত্র ও ডকুমেন্টারির মাধ্যমে ফিরে দেখা হবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান।

পরের অধিবেশন বেলা ২টা ৩০ মিনিটে শুরু হয়ে চলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত। যেখানে থাকবে শহীদ পরিবার, আহত আন্দোলনকারী ও বিশিষ্টজনদের স্মৃতিচারণ ও আলোচনাসভা। সবশেষ অধিবেশন সন্ধ্যায় শুরু হয়ে সঙ্গীত, নাটক, আবৃত্তি ও অন্যান্য শিল্পকর্ম উপস্থাপনার মাধ্যমে রাত ১০টায় শেষ হবে।

‘জুলাই জাগরণ’-এর বিশেষ আকর্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে আয়নাঘর: একটি ভাবনানির্ভর প্রদর্শনী, যেখানে আয়নার মাধ্যমে দর্শকরা অনুভব করতে পারবেন প্রতিবাদের বহুমাত্রিক রূপ। শহীদ মানচিত্রে বাংলাদেশের আটটি বিভাগের প্রতীকী চিত্রায়নে ফুটে উঠবে আন্দোলনের স্মরণীয় মুহূর্ত।

গ্রাফিতি প্রদর্শনীতে আন্দোলন চলাকালে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আঁকা দেয়ালচিত্রের সংগ্রহ, কিডস জোনে ছোটদের জন্য চিত্রাঙ্কন, গল্পপাঠ, মিনি থিয়েটার ও খেলার আয়োজনসহ রয়েছে স্মারক ও বইয়ের স্টল। যাতে আন্দোলনভিত্তিক প্রকাশনা ও স্মারক সংগ্রহের সুযোগ থাকছে।