সমস্যাগ্রস্ত ৫ ব্যাংকের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ বিবেচনা করতে পারে সরকার

প্রস্তাবিত একীভূতকরণ প্রক্রিয়া বর্তমানে একটি জটিল, বহুস্তর বিশিষ্ট নিয়ন্ত্রক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এগোচ্ছে। পরিকল্পনার আওতায় পাঁচটি সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংককে একত্রিত করে একটি ইসলামী ব্যাংকে রূপান্তর করা হবে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক |ইন্টারনেট

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন, পাঁচটি সমস্যাগ্রস্ত ইসলামী ব্যাংকের একীভূতকরণে ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়টি সরকার বিবেচনা করতে পারে।

আজ সোমবার রাজধানীতে বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দফতরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

আরিফ হোসেন বলেন, ‘যদি ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা সরকারের কাছে আবেদন করেন, তাহলে সরকার তার সক্ষমতা অনুযায়ী বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।’

শেয়ারবাজারের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলোতে বিনিয়োগ করা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীরা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন।

তিনি জানান, প্রস্তাবিত একীভূতকরণ প্রক্রিয়া বর্তমানে একটি জটিল, বহুস্তর বিশিষ্ট নিয়ন্ত্রক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এগোচ্ছে। পরিকল্পনার আওতায় পাঁচটি সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংককে একত্রিত করে একটি ইসলামী ব্যাংকে রূপান্তর করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন বলেন, ‘গত মার্চ মাসে পাঁচটি ব্যাংককে একটি ইসলামী ব্যাংকে একীভূত করার প্রাথমিক প্রস্তাবিত পরিকল্পনা সম্পর্কে সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আগ্রহপত্র জমা দেয়ার পর থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক এই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে।’

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, নতুন প্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে কেবলমাত্র নির্ধারিত আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করার পর।

তিনি আরো বলেন, আবেদনকারী হিসেবে সরকারকে প্রথমে যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্ম নিবন্ধকের (আরজেএসসি) কাছে কোম্পানি গঠনের জন্য আবেদন করতে হবে। এই আবেদনে বোর্ড গঠন ও শেয়ারহোল্ডিং কাঠামোর বিস্তারিত থাকতে হবে।

আরিফ হোসেন বলেন, আরজেএসসি থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর কোম্পানিটি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন করবে। নতুন প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংক কোম্পানি আইনের বিধান অনুযায়ী, ব্যাংক কোম্পানি হিসেবে রূপান্তর বা স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় আবেদন গ্রহণ করে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়ার পরই নতুন ব্যাংকটি প্রধান কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করতে পারবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সূত্র : বাসস